এক ছাগলে ভাগ্য বদল ঝিনাইদহের রিয়াজের
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
যে ছাগলের জন্য গাছের পাতা পাড়তে গিয়ে হাত ভেঙে কর্মহীন হয়ে পড়ে ছিলেন অলিয়ার রহমান। আবার সেই ছাগলেই ভাগ্য বদল হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বিশ^াসের ছেলে।
তিনি জানান, নিজের কোন জায়গা জমি নেই। অন্যের ক্ষেতে দিন মজুরির কাজ করতাম। একদিন দুপুরে বাড়িতে এসে ছাগলের জন্য গাছ থেকে পাতা ভাঙতে যায়। অসাবধান বশত গাছ তেকে পড়ে হাত ভেঙে কর্মহীন হয়ে পড়ি। দীর্ঘদিন কাজ করতে না পেরে আতœীয় স্বজনদের নিকট ধার দেনায় আর কেউ দিতে রাজি নয়। এমন সময় স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে। এত কিছুর পরও সেই ছাগল বিক্রি না কওে যতœ করে পালন করতে থাকি। কয়েক বছর না যেতেই ছাগলের সংয়খ্যা বাড়তে থাকে। সংসারে অভাব কমতে থাকে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ ছাগল পালন করছি। ছাগলগুলো নিয়ে রাস্তার পাশে, আবার কখনও মাঠে চরাতে যাই। ফলে ছাগল পালনে খরচ কম হয়। বর্তমানে পূর্ণ বয়স্ক ২৫টি ছাগল ছাড়াও ১৪টি বাচ্চা রয়েছে। প্রতি বছর ১৪/১৫ টি বিক্রির টাকায় সংসারে অভাব চলে গেছে। তৈরি করেছেন ইটের বাড়ি। এছাড়া ছেলে মেয়েকে লেখা পড়ার করাচ্ছেন।
প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৪ টি ছাগল পারিবারিক ও বানিজ্যিক খামারে পালন করা হচ্ছে। কম পুঁজিতে ছাগল পালন করে বেকার সমস্যা সমাধান, দারদ্র্যি বিমোচন, পুষ্ঠির চাহিদা সহ অর্থনিতিতে ব্যপক ভুমিকা রাখছে।
প্রানী বিভাগের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারি বলেন, এখানকার মাটিও আবহাওয়া ছাগল পালনে অত্যন্ত উপযোগি। ছাগলের মাংস ও চামড়ার গুনগতমান উন্নতমানের। অল্প জায়গা, রোগ বালাই কম, অল্প পুঁজিতে ছাগল পালন ঝিনাইদহ দারিদ্র্য বিমোচনে মডেল হতে পারে। এরই মধ্যে ছাগল পালন করে অনেকর সংসারে অভাব ঘুচিয়ে সাবলম্বি হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি, আগ্রহীদের বিষয়ে আন্তরিক।