হরিণাকুন্ডুতে মুজিব বর্ষে সম্প্রীতি একতারা উৎসবে পালিত হলো
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
“ হলুদ সাদা লাল রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে মিলিত হলো হাজার হাজার লালন ভক্তবৃন্দ”
“সত্য বল সুপরে চল ওরে আমার পাগল মন” এই পতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিব বর্ষের অন্তিম মূহূর্তে ঝিনাইদহ জেলা লালন পরিষদের সভাপতি ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের সভাপতিতে এবং একতারা ভাষ্কর্যের উদ্বক্তা ও ঝিনাইদহ থিয়েটারের সভাপতি একরামুল হক লিকুর সঞ্চালনায় হরিণাকুণ্ডুতে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হলো সম্প্রীতির একতারা উৎসব।
ঝিনেদা থিয়েটার,লালন পরিষদ ‘ভোর হলো’ ঝিনাইদহের আয়োজনে ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার পড়ন্ত বিকেলে একতারা উৎসবকে ঘিরে হাজার হাজার লালন ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়ে উপজেলা ফুটবল মাঠকে হলুদ সাদা রঙ্গে রাঙ্গীয়ে দিল । লালনের ভক্তবৃন্দ লালন প্রেমিকেরা ভিন্নভিন্ন আয়োজনে মিলিত হয়ে দর্শকদের মন মাতিয়ে দিলো ।
একতারা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসূফ বাচ্চু ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ -২ আসনের জাতীয় সাংসদ তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী (সমী), বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মান আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম বশিরুল ‘আলম চৌধুরী(সাবু),, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আ”লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মশিউর রহমান জোয়াদ্দার, গ্রাম থিয়েটারের নির্বাহী সদস্য “মঞ্চ কুসুম” শিমুল ইউসুব , জার্মান আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার জাহীদ (বিপ্লব) ,হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা, ঝিনাইদ লালন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মুকুল , সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি রওশন আলী,অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, হরিণাকুÐ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুজ্জামান তাজু , সাধারণ সম্পাদক এইচ মাহবুব মিলু , বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ সহ অনেকে ।
উল্লেখ্য গত ১৬ই মে ২০১৭ হরিণাকুন্ডুতে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে “লালনশাহ্ এর ভাস্কর্যও একতারা ” নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়,যার প্রেক্ষিতে ৯আগষ্ট ২০১৭ হরিণাকু-ু উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় ভাস্কর্যও একতারা নির্মাণের দাবী অনুমোদিত হয়। এবং ৬জুলাই ২০১৮ সন্ধ্যা৭.৩০মিনিটে বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির বসত ভিটা হরিণাকুন্ডুতে রাজশাহী চারুকলা ভাষ্কর্য বিভাগের শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত শিল্পি শাওন সরদার ও আফ্রীদি অন্ত এর অক্লান্ত পরিশ্রমে স্থাপন করা হয় ২৬ ফুট উঁচু একটি একতারা ভাস্কর্য। যা বর্তমানে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ বাদ্যযন্ত্র ভিত্তিক ভাসকর্য বলে ক্ষ্যত । অনেক অপেক্ষা- প্রতিক্ষার পর হরিণাকুন্ডুর মাটিমানষের প্রাণের দ্বাবীতে এই ভাস্কর্যটি উদ্বোধন হলো বলে মনে করেন লালন ভক্তবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ফকির লালন শাহ,পাঞ্জু শাহ,আব্দুল করিম,পাগলাকানাই,বিজয় সরকার,হাসন রাজা, রাধারমনদন্ত,কাঙ্গাল হরিনাথ সহ বিশিষ্টব্যাক্তি বর্গকে শ্রদ্ধাভরে শরণ করেন ভক্তবৃন্দ ।