গাড়াগঞ্জ-শৈলকূপা সড়কের বেহাল দশা
তাজনুর রহমান ডাবলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
অ্যাডভোকেট বাবুল আক্তার প্রতিদিন যাতায়াত করেন ঝিনাইদহ আদালতে। শৈলকূপা থেকে গাড়াগঞ্জ সাত কিলোমিটার যেতেই যেন হাড়-মাংস এক হয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমেই খেতে হয় ব্যথার ওষুধ। তারপর খানাখন্দে পড়ে কোনো কোনো সময় যেন পরিবহনের চাকা খুলে পড়বে- এমন অবস্থা। ক্ষোভের সঙ্গেই তিনি বললেন, এভাবেই প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে।
বাবুল আক্তারের মতো হাজারো যাত্রী, পরিবহন মালিক-শ্রমিকের অভিযোগ ঝিনাইদহের শৈলকূপার প্রবেশদ্বার গাড়াগঞ্জ-শৈলকূপা সড়কের বেহালদশা নিয়ে। প্রতিদিন শত শত ভারী ও হালকা যানবাহন শৈলকূপায় প্রবেশ ও শৈলকূপা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যায় ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি দিয়ে। অথচ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও সড়কটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ভারী ও হালকা পরিবহন মালিক নোমান পারভেজের সঙ্গে বেহাল সড়কটি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, শৈলকূপায় প্রবেশের প্রধান সড়ক গাড়াগঞ্জ-শৈলকূপা সড়ক।
শৈলকূপা মৌসুমি ফসলের বড় বাজার হওয়ায় প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত ভারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করে। অথচ এ সড়কটির বেহালদশা। খানাখন্দে পড়ে পরিবহন বিকল হয়ে পড়লে অন্য পরিবহন চলাচল একেবারে অসম্ভব হয়ে যায়। এ জন্য দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হালকা যানের চালক সজিরুল ও লিটন জানান, খুব কষ্ট করে তারা প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেন শৈলকূপা-গাড়াগঞ্জ সড়ক দিয়ে। তারা যখন শৈলকূপা ও গাড়াগঞ্জে যাত্রী নামিয়ে দেন তখন সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন চালাতে হয় তাদের। দুই-তিনবার যাতায়াতের পর গ্যারেজে দিতে হয় গাড়িটি।
সড়কটি সংস্কার হলে পরিবহনের মেরামত খরচ ও যাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে বলে জানান তারা। তাছাড়া যাতায়াতের সময় যাত্রীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, শৈলকূপায় এসব দেখার যেন কেউ নেই।
রাস্তাটি সংস্কার নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার শৈলকূপা-গাড়াগঞ্জ সড়কের বেহালদশা নিয়ে বলেন, সড়কটির একটি নকশার জন্য ঢাকায়
কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। নকশাটি এলে মন্ত্রণালয়ে সড়ক মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।
গুরুপূর্ণ এ সড়কটির কাজ চলতি বছরের মধ্যে হবে বলে জানান তিনি।