বিএনপির ‘রোগাক্রান্ত’ বেল্টুতে হতাশ কর্মীরা!
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদরের আংশিক) আসনে সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টুকে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বেল্টুর বিরুদ্ধে দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের খোঁজ না নেয়া, দীর্ঘদিন এলাকায় না আসা, আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ১/১১ এর সময় তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে খুলনা বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে হেরে তিনি একদমই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। হামলা-মামলার শিকার নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেননি তিনি। বিভিন্ন কমিটি গঠন তার ঝিনাইদহের কলাবাগানের বাড়িতেই করেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাদ রেখে কাছের দুই-একজনের কথামতো দল পরিচালনা করেন তিনি। তাছাড়া বয়সের কারণে বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। ডায়াবেটিসসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার এক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জানান, ২০০৮ সালের পর থেকে তিনি বেশিরভাগ সময় ঢাকাতে থেকেছেন। হামলা-মামলার শিকার নেতাকর্মীদের সহায়তা তো দূরে থাক, ফোনেও খোঁজ নেননি। তাছাড়া তিনি এমপি থাকাকালীন নিজ উপজেলা কালীগঞ্জে থাকতেন না। কালীগঞ্জে তার একটা বাড়িও নাই। তাছাড়া বয়স প্রায় ৭০ বছর। নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। দলের এই কঠিন সময়ে এই আসনে তরুণ নেতৃত্ব দরকার।
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, ১/১১ এর সময় তিনি (বেল্টু) দলের সাথে বেঈমানি করেছে। তখন থেকেই তিনি এলাকা ছাড়া। হামলা-মামলার শিকার নেতাকর্মীরা তাকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ, না হয় রিসিভ করে ‘অসুস্থ আছি’ বলে ফোন কেটে দেয়। জনবিচ্ছিন্ন এই নেতা নিজ উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে ঝিনাইদহে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তিনি কিভাবে স্থান পান?
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।