ঝিনাইদহে করোনার প্রভাব ছাপাখানা সংবাপত্রের উপর
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
দেশে আজ করোনায় আতঙ্ক। ইতিমধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা। ঝিনাইদহে এর প্রভাব ছাপাখানা, সংবাদপত্র ও প্রত্রিকা বিক্রেতাদের উপর পড়েছে।
করোনাভাইরাস রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় হকারের মাধ্যমে আসা ছাপানো সংবাদপত্র এড়িয়ে চললে এ পর্যায়ে সরকারের নির্দেশনার সংবাদপত্রের বিক্রি বন্ধ বলে হকারদের কাছ থেকে এ তথ্য মিলেছে।
এই পরিস্থিতিতে ছাপানো সংবাদপত্রের বদলে ইন্টারনেট সংবাদপত্রের বিভিন্ন টেলিভিশনের উপরই নির্ভর করছেন।
বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা কভিড-১৯ রোগী ৮ (আট) মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে। তারপর থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের পারস্পরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা শুরু হয়। সংক্রমণ এড়াতে নগদ টাকা, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গণভাবে ব্যবহৃত হেলমেট, পত্রিকাতেও এর প্রভাব পড়েছে।
ঝিনাইদহ সৃজনী প্রেস এন্ড প্রিন্টের সহকারি ম্যানেজার বাবর আলি বলেন, সরকারি নিদেশ অনুযায়ি কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। নির্দেশ পেলে পূর্বের ন্যায় কাজ অব্যাহত থাকবে।
ঝিনাইদহ ডাকবাংলা এলাকার প্রত্রিকা এজেন্ট বাদশা মুন্সি বলেন, পত্রিকা বিক্রির সাথে যে সকল হকার্স ছিল তারা আজ এক প্রকার বেকার হয়ে অলস সময় পার করছে।
ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এম রায়হান বলেন, করোনারভাইরাসের কারনে পত্রিকা ছাপা ও বিলি করা কঠিন। পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পূর্বের ন্যায় চলবে।