আব্দুর রহমান মিল্টন-
দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি কেনা নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪জন আহত ও কমপক্ষে ১০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার রাতে শৈলকুপার দুধষর ইউনিয়নের ভাটই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি কিনে বাড়ি ফিরলে পুলিশ ভাটাই গ্রাম এলাকা থেকে উজ্জ্বল, সরোয়ার রাসেল সহ বিএনপির ৭কর্মী কে আটক করা হয়। এরপর তারা আজ শনিবার জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফেরে। এঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
এর পর এক পর্যায়ে দুধষর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সম্পাদক বর্তমান ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন ও দুধষর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তোজামের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন।
তবে স্থানীয় বিএনপি নেতা তোজাম জানায়, জমি বন্দক নিয়ে বিএনপি কর্মী বাটুল ও আওয়ামীলীগ কর্মী জামিরুল-কামিরুলদের বিরোধ তৈরী হয়। তারা জোর করে বাটুলের বন্দকী জমিতে ফসল লাগিয়েছে । এনিয়ে শালিস-বৈঠকের জেরে ভাটই গ্রামে তাদের সমর্থিত সমস্ত নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে ।
আহত হয়েছে ভাটই গ্রামের মোজামের ছেলে নাজির, সরোয়ারের ছেলে রনি সহ ৫/৬জন । দুজনের অবস্থা গুরুত্বর বলে তিনি দাবি করেন। হামলায় অনেক কর্মী বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানান।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা বলছেন, ঢাল-সড়কি কিনে এলাকায় সহিংসতার চেষ্টা করছিল বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ।
বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।