ঝিনাইদহে ছেলে টিকলেও অবৈধ বাবা
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে রোববার।
ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে একই আসনে তার ছেলে ইব্রাহিম রহমান রুমির মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন ঝিনাইদহ জেলা রির্টানিং অফিসার সরোজ কুমার নাথ।
দুদকের মামলায় দণ্ড হওয়ায় মসিউর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অবশ্য বিষয়টি আগেই বুঝতে পেরে তিনি ছেলেরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যদিও বিএনপিতে ইব্রাহিম রুমির কোনো পদ নেই।
এবার ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু-সদরের একাংশ) আসন থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. মসিউর রহমান, তার ছেলে ইব্রাহিম রহমান রুমি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মজিদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম মশিউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর রবিউল ইসলাম লাবলু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, বর্তমান এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) অ্যাডভোকেট আসাদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফখরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, স্বতন্ত্র ইউসুপ পারভেজ ও জাকের পার্টির মো. আবু তালেব সেলিমসহ ১২ জন মনোনয়ন জমা দেন।
যাচাই-বাছাইয়ে সাবেক এমপি মসিউর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, জাকের পার্টির আবু তালেব সেলিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ পারভেজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর রবিউল ইসলাম লাবলুর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং অফিসার। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু পরে প্রত্যাহার করে নেন বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা মশিউর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা।
আদালত মসিউর রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৯ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।