৩৮তম বিসিএস: কৃষি ক্যাডারে প্রথম ঝিনাইদহের মাসুম আব্দুল্লাহ
ঝিনাইদহের চোখ-
প্রথমবার ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃষি ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মাসুম আব্দুল্লাহ। তার এই সফলতায় উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা আত্নীয়-স্বজন, সহপাঠিরাও।
মাসুম আব্দুল্লাহ ঝিনাইদহের সদর উপজেলার মো. হাফিজুর রহমান ও পারভীন রহমানের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। ছোট বোন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মাসুম ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি হয়।
২০১৭ সালে স্নাতক শেষ করে ওই বছরই প্রথমবারের মতো ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফলে মেধাক্রমে প্রথম হয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাসুম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথম হওয়াটা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিলো সবসময়ই।
করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব স্থবির প্রায়। এই সময়ে অর্থনীতিকে আগলে রেখেছে কৃষি। এই পরিস্থিতিতে কৃষি সেক্টরে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে দেশকে কিছু করতে পারাটা আমার জন্য বিশাল সৌভাগ্যের বিষয়। তাৎক্ষণিক ভাললাগা বাবা-মায়ে স্বপ্ন কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি।
নিজের প্রস্তুতির বিষয়ে বলেন, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিজেরজন্মস্থান নিয়ে জানার আগ্রহ ছিলো ছোটবেলা থেকেই। স্কুল থেকেই সাহিত্য সংঘ, ডিবেটিং সোসাইটির মতো সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকায় সাধারণ জ্ঞানসহ সমসাময়িক বিষয়ে জানতাম। তবে বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে অনুপ্রেরণা পাই ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের দেখে।
স্নাতক তৃতীয় বর্ষ থেকেই সপ্তাহে অন্তত একদিন বন্ধু, বড়ভাইদের সাথে গ্রুপস্ট্যাডি করতাম। আমার বিসিএস জার্নিতে বন্ধু, হলের বড়ভাইয়েরা ছিল পাথেয়। সিলেবাস বুঝা, ভালো মানের হ্যান্ডনোট, মানসিক শক্তি ধরে রাখাতে তাদের অনুপ্রেরণা অতুলনীয়।