জাহিদুল ইসলাম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পুরন্দপুর গ্রামে এক নারীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে পুরন্দপুর গ্রামে স্থানীয় এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানবন্ধনে এলাকার অসংখ্য নারী-পুরষ অংশগ্রহন করে। তাদের অভিযোগ ঐ গ্রামের শফিউদ্দিন খান ওরফে মন্টু মাওলানার মেয়ে জেনিয়া সোহানী খাঁন বুলবুলি একের পর এক এলাকার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে মিথা মামলা এবং প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করে আসছে। সে সব সময় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নেয়। অথচ তার পরিবারের সকলেই জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এ সংক্রান্ত স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনও করেছে। উক্ত আবেদনে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ময়জদ্দীন হামীদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম.এ আসাদ, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ আতউর রহমান, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার লান্টু, পুরন্দপুর গ্রামের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবু তালেব ও আব্দুস সালাম বাচ্চু সহ এলাকাবাসী স্বাক্ষর করেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত আব্দুস সালাম ও আব্বাস উদ্দিন বলেন, উক্ত নারীর কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সে হালদারপাড়ার কয়েকটি পরিবারকে তারকাটা দিয়ে ঘিরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বল্লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দিয়ে তাকে হয়রানি করে। ঐ গ্রামে রাস্তা করার সময় সরকারি কর্মকর্তা সহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দেয়। পিবিআই তদন্ত করে ঘটনা মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এ বিষয়ে জেনিয়া সোহানী খাঁন বুলবুলি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য বলে দাবী করেন এবং পুলিশের কথা মত তিনি হাল্দারদের রাস্তা তারকাটা দিয়ে ঘিরে দিয়েছে বলে জানান। মানববন্ধন চলাকালীন উক্ত নারী তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এর কোন সদ-উত্তোর মেলেনি।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, উক্ত নারী আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখায়। উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সহ এমনকি এমপিও তার কাছে কিছু না। এলাকাবাসীর প্রশ্ন তার ক্ষমতার খুটির জোর কোথায় ?