চিত্রাকে বাঁচাতে কালীগঞ্জ স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যতিক্রমী আয়োজন
সাবজাল হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
এক সময়কার খরস্্েরাতা চিত্রা নদীতে চলতো বড় বড় নৌকা। এ নদীর পানি দিয়েই কৃষকেরা ফসলী ক্ষেতের সেচকাজ চালাতেন। মাছ ধরে সংসার চালাতেন মৎসজীবিরা। সেই চিত্রা আজ দখলে দূষনে যেন সরু খাল। এ অবস্থা থেকে চিত্রাকে বাঁচাতে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন ব্যতিক্রমী কর্মসূচী পালন করেছে। চিত্রার এমন অবস্থা থেকে বাঁচাতে শনিবার বিকেলে তারা হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ডের নিকটবর্তী নদীর অংশে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিয়ে এক প্রতিকী প্রতিবাদ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার মনিরুজ্জামান রিংকু, কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ড.মামুনুর রশিদ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাবজাল হোসেন, সাংবাদিক আশিকুর রহমান সোহাগ, রিয়াজ মোল্যা প্রমূখ।
কালীগঞ্জ স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা ইবনে মাসুদ জানান, নিয়ন্ত্রন না থাকায় নদী দখলবাজদের সংখ্যাই শুধু দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নদীর জায়গা দখল করে বসতবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। কাটা হয়েছে ছোট বড় পুকুর। কেউ কেউ নদীর জায়গা ফসলী মাঠে পরিণত করেছে। নদীর মাঝখানে এখন যতটুকু জায়গা আছে সেখানেও এক শ্রেণীর অসচেতন মানুষ ময়লা আবর্জনা ও কলকারখানার বর্জ্য ফেলে পানি দূষিত করছে। আর দূষনযুক্ত পানিতে মাছের বংশ বিস্তার ঘটছে না ফলে আমিষের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
এ থেকে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে সচেতন করতে এমন উদ্যোগ গ্রহন করেছে তারা।
সাধারন সম্পাদক শেখ ফরহাদ জানান, শুধু নদী দখলমুক্ত করলেই হবে না। যথাযত খনন ও পানিকে বর্জ্যমুক্ত করতে পারলেই আবার ফিরে আসবে আগের দিন। এক সময়ে এ নদীতে নৌকা চলতো। এখন নদীটি সরু খালে পরিণত হওয়ায় তারা কাগজের প্রতিকী নৌকা নদীতে ভাসিয়ে চিত্রার অতীতের অবস্থার কথা মনে করে দিয়েছেন মাত্র।
তাদের সাথে শিক্ষার্থীদের সমমনা সংগঠনসহ স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।