ভরা পৌষেও গরম, থাকবে আরো তিন-চারদিন
ঝিনাইদহের চোখ-
সপ্তাহ দুয়েক আগে তাপমাত্র নেমেছিলো সাতের ঘরে। অথচ ভরা পৌষে ঢাকার তাপমাত্রা এখন ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নেই শীতের অনুভূতি।
এরইমধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পটুয়াখালীতে, ৩১.২ ডিগ্রিতে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে তেঁতুলিয়ায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন গরম আরো তিন থেকে চারদিন অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে, ১১ জানুয়ারির পর কমতে পারে তাপমাত্রা। আর ১৫ জানুয়ারি আসবে শৈত্যপ্রবাহ। তবে পৌষের শেষে সূর্যের ঝলকানি উষ্ণতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতিতে। বাড়িয়েছে গরমের অনুভূতি, দিনের বেলা কমিয়েছে শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা।
প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণের জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ আরো বাড়বে ভবিষ্যতে।
মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপের প্রভাবে দিনের বেলায় বেড়েছে গরমের অনুভূতি। গত তিনদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, শীতে এমন অবস্থাকে অস্বাভাবিক নয়। অন্যদিকে, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কার্বন নিঃসরণ কমানো না গেলে জলবায়ুতে আরো বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।