আমেরিকার নাসার নামে প্রতারনা ঝিনাইদহে চক্রের ৫ সদস্য আটক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
কোয়েন (বৃটিশ মুদ্রা) প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এরা হলো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান ওরফে সালাম ওরফে লিটন. বরিশালের বাবু গঞ্জের মনিরুজ্জামান কামরুল ওলফে জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের আবু তাহের জবা. পাবনা জেলার বেড়াউপজেলার শফিকুল ওরফে স্বপন, এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি গ্রামের স্বপন ব্যাপারী। এর আগে মামলার তদন্তকারী পিবিআইয়ের উপ-পুলিশ পরিদর্শক তেৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আদালতে আনা হয় তাদের।
এ বিষয়ে পিবিআই ঝিনাইদহের এসপি মাহবুবুর রহমান জানান, গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা ভয়ংকর প্রকৃতির প্রতারক। এরা শিক্ষিত এবং তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী। দেশের নামী দামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের টার্গেট করে থাকে তারা। টার্গেট মোতাবেক প্রতারনার জালে ধরা দেওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।
পিবিআই এসপি আরো জানান, ১৮২৮ সালে ইষ্টইনডিয়া কোম্পানীর সময়কার কোয়েন থেকে আমেরিকার নাসা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। যে কারনে কোয়েনের চাহিদা রয়েছে এবং নাসা বিলিয়ন বিলয়ন ডলার দিয়ে সেগুলো কিনে থাকে। এমন লোভ দেখিয়ে দেশের নামী দামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অসংখ্য ব্যক্তি এদের প্রতারণার শিকার হয়ে স্বর্বশান্ত হয়েছেন। কিন্তু লোক লজ্জ্বার ভয়ে আইনের আশ্রয় নেননি তারা। চলতি জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ঝিনাইদহ সদর থানায় আনন্দ গ্রুপ ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার মাহবুব আলম বাদি হয়ে গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।ওই মামলার সুত্র ধরে দেশের ভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে পিবিআই। টানা দুই দিনের অভিযানে গ্রেফতার করা হয় প্রতারক চক্রে ৫ সদস্যকে। এরপর বেরিয়ে আসে ভয়ংকর প্রতারণা সব তথ্য।
উদ্ধার করা হয়েছে .নগদ দুই লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ টাকা রাখার ভোল্ট চেক বইসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মোবাইল সেট। ভয়ংকর এই প্রতারক চক্রের প্রধানসহ আরো ১০/১২জনকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে। আগামীকাল শনিবার গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের রিমন্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী।