সাবজাল হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা শামিমা শিরিন লুবনা কর্তৃক ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব সর্বোজন শ্রদ্ধেয় লুৎফর রহমান লাড্ডুকে মানষিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দ্রæত অপসারনের দাবিতে কালীগঞ্জবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
এ উপলক্ষে ক্রিড়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অংশ গ্রহনকারীরা মেইন বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের পাশে প্রায় ৪০ মিনিট ব্যানার ফেস্টন নিয়ে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের ফটকে উপস্থিত হয়ে তারা ডাঃ শামিমা শিরিন লুবনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এরপর মহাসড়কের মানববন্ধন শেষ করে কালীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বাস্থ্যকর্মকর্তা শামিমা শিরিন লুবনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
এ সময়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে স¥ারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা চত্বরে কালীগঞ্জ ক্রিড়া ফেডারেশনের সহসভাপতি অজিৎ ভট্রাচ্যার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলোর ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ রহমান, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সমকাল প্রতিনিধি জামির হোসেন, সাবেক সভাপতি ইত্তেফাক/ বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকারকর্মি শিবুপদ বিশ্বাস, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা আব্দুল জলিল, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সংবাদ প্রতিনিধি সাবজাল হোসেন, যুগান্তর প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক শাহারিয়ার আলম সোহাগ, কালীগঞ্জ ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ও ইনকিলাব প্রতিনিধি আশিকুর রহমান সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সূমন, ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মোল্যা,উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান সোহাগ,ওয়ার্কাস পার্টির সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। কালীগঞ্জ ক্রিড়া ফেডারেশনের সদস্য আশরাফুজ্জামান রাবুল,এ্যাড-আজিজুর রহমান,সূবর্ণ কুমার সাহা, ওবায়দুল হক মেহেদী,কালীগঞ্জের আম্পায়ার এসোসিয়েশন নেতা সাইদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালক মোস্তফা ইবনে মাসুদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে কালীগঞ্জের স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন এনজিও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন,ক্লিনিক মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি,ছাত্রদের ফেইজবুক কেন্দ্রিক ওয়াও ওয়াচাম গ্রæপ, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট কমিটি, সূধী সমাজের নেতৃবৃন্দ, উন্নয়নমূলক সামাজিক সংগঠনসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যানার ফেষ্টন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্যানার ফেস্টন নিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তারের অপসারনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তার অপসারন না করা হলে কালীগঞ্জের মানুষ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।
স্মারক লিপি হাতে পেয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রকাশ থাকে যে,লুৎফর রহমান লাড্ডু। বয়স ৬৫ পার হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নলডাঙ্গা ভূষন হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক সর্বোজন শ্রদ্ধেয় মরহুম শওকত আলী পুত্র। বাবার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই স্কুলের খেলার মাঠ চিনেছেন তিনি। এখান থেকেই শুরু শিশু থেকে যৌবন পার করে পৌছে গেছেন বৃদ্ধের কাতারে। কিন্ত এখনও তিনি খেলার মাঠ আকড়িয়েই আছেন।
এখনও কালীগঞ্জ উপজেলার ক্রিড়া সংস্থা ও কালীগঞ্জ ক্রিড়া ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে কালীগঞ্জের সব বয়সী মানুষের কাছে তিনি আমাদের লাড্ডু ভাই হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার তিনি স্বস্ত্রীক করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। নিজের টিকা নেওয়া শেষ করে অসুস্থ স্ত্রীর টিকা নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ করতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা শিরিন লুবনার রুমে ঢুকতেই গালিগালাজ ও দূর্ব্যবহার শুরু করেন তিনি। কোন অনুমতি না নিয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে এমন মানষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন লাড্ডু ভাই। শুধু এতেই খ্যান্ত হননি। লাড্ডু ভাই ক্ষমা না চাইলে হাসপাতালে আটক করে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন ওই স্বাস্থকর্মকর্তা। পরে যখন লাড্ডু ভাই জানলেন উনি তার ছেলের সাথে শিশুতে একসাথে পড়তেন। তখন তিনি অঝোরে কাঁদলেন। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক সংবাদসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।