হরিণাকুণ্ডুতে এক মাসে পুড়েছে ৫২ বিঘা পানের বরজ
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় গত এক মাসে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ৫২ বিঘা জমির পানের বরজ। সর্বশেষ গতকাল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দারিয়াপুর গ্রামের ২৫ কৃষকের ১২ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে যায়।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি হরিণাকুণ্ডুর মান্দারতলা গ্রামের ৩০ বিঘা ও ৪ মার্চ একই উপজেলার মকিমপুর গ্রামের ১০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিঠু মিয়া জানান, গতকাল দুপুরে দারিয়াপুর গ্রামের সাহেব আলী নামে এক কৃষক তার গমের জমির আগাছা পোড়ানোর সময় আমার পানবরজে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন মুহূর্তে আশপাশের বরজে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে যায় ওই গ্রামের রাজু মিয়া, ইবাদত হোসেন, রুস্তম আলী, ইশারত আলী, নুর হক, মঞ্জের আলী, বিশারত আলী, নিজাম উদ্দিন, লতিফ হোসেন, সৌরভ আলী, মকছেদ আলীসহ ২৫ জন কৃষকের ১২ বিঘা জমির পানবরজ। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন কৃষকের ১৮-২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে সরাসরি সাহায্য করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে আমরা ভবিষ্যতে প্রণোদনা বা প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করব।
হরিণাকুণ্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফতদৌলা ঝন্টু বলেন, এলাকার অনেক চাষী জমি লিজ নিয়ে পানের আবাদ করেছেন। আগুনে তাদের সম্বলটুকু শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।