ঝিনাইদহে হিটশকে ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতি
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে হিটশকে ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার (৪ই-এপ্রিল) বিকালে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাসে গরম হাওয়ায় সদ্যবের হওয়া ধানের শীষ শুকিয়ে গেছে। লাভের আশায় আবাদ করে ধানের এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা।
কৃষি বিভাগ জানান, ধানের শীষবের হবার পর দিনে ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ক্ষতিকর। তবে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবাহিত হলে ধান ক্ষেতে হিটশকের দেখা যায়।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানান, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলাতে ৭৭ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও আবাদ হয় ৮০ হাজার ২৮৪ হেক্টর জমিতে। সদ্যবয়ে যাওয়ায় গরম ঝড়ো হাওয়ায় সদরে ৮ হেক্টর, কালিগজ্ঞে ১০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮ হেক্টর, মহেশপুরে ৩০ হেক্টর, শৈলকুপায় ১৩ হেক্টর এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ৪৮ হেক্টরসহ ১১৭ হেক্টর ইরি ধানের শীষে শুকিয়ে যাবার তথ্য রয়েছে। তবে বাস্তবে এপরিমান আরও বেশি বলে কৃষকরা জানান।
জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার রুদ্রপুরের আসমান আলী জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে বাসমতি ধানের আবাদ করে ছিলেন। কেবলমাত্র ধানের শীষগুলো বের হয়েছে। সদ্যবয়ে যাওয়া গরম ঝড়ো হাওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই মাঠে কমপক্ষে অর্ধশত বিঘা জমিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারন বিভাগে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি মাঠের ক্ষতিগ্রস্থ কিছু ক্ষেত পরিদর্শণ ও কৃষকে সাথে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. জাহেদুল আমিন বলেন, এধরনের গরম ঝড়ো হাওয়ায় (হিটশক) যে সকল ধানের জমিতে পানি থাকে, সেখানে ক্ষতির সম্ভবানা কম থাকে। তবে বর্তমানে জমিগুলোতে প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ৬০ গ্রাম এওপি, ৬০ গ্রাম থিয়োভিট এবং ২০ গ্রাম জিংক মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।#