বাবা মালয়েশিয়ায় আমি খুব অসুস্থ ঝিনাইদহে ফিরতে চাই
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামের মহিউদ্দীনের ছেলে মোদাচ্ছের হোসেন পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট মালেশিয়া পাড়ি জমান।
সেখানে একটি চায়না মালিকানাধিন একটি রাবার কারখানায় কাজ করে আসছেন। যার ইমপ্লয়ারর আইডি-৪৩০৩ । কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ শারীরিক অবস্থা বেশি একটা ভালো না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলে জানান, তিনি দীর্ঘ দেড় বছর অসুস্থ অবস্থায় কাজ করছি। কোম্পানির মালিককে বলেও ছুটি মিলছে না। ছুটি চাইলেই মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছেন। এভাবেই কেটে গেছে দেড় বছর।
প্রবাসী মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, বিদেশের মাটিতে চিকিৎসাসেবা নিতে এই দেড় বছরে আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে ছে। তারপরও আমি পাইনি কোন সুচিকিৎসা। আমার হার্টের সমস্যা, পেট ফুলে থাকে, খেতে পারিনা, বুকে ব্যথার জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারিনা। সব সময় বুকের ভেতর জ্বালা-যন্ত্রণা করে। তাই আমি কাজ বাদ দিয়ে এখন দেশে আসতে চাই। দেশে পিতা-মাতা,স্ত্রী, কন্যা, সন্তানদের নিয়ে বাকি জীবন যাপন করতে চাই।
মোদাচ্ছেরের পিতা মহিউদ্দীন বলেন, আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতায় নিরাপদে দেশে ফিরে আসার জন্যে আমার যা করা দরকার আমি তাই করবো। কিন্তু আমার ছেলেকে দ্রæত সময়ের মধ্যে দেশে এনে সুচিকিৎসা করাতে চাই। আমি পিতা হিসেবে আমার সন্তানের অসুস্থ অবস্থায় বিদেশে কাজ করবে এটা জে কি কষ্টের তা সকলকে বলে বুঝানো সম্ভব না।
মোদাচ্ছেরের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, আমার স্বামী দেড় বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অসুস্থ অবস্থায় কাজ করছে ওখানে ডাক্তার দেখিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি বরং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঝিনাইদহ আল-মদিনা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডা.বিশ্বনাথ সরকার এর সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে। ডাক্তারের মাধ্যমে ঔষধ লিখে সেই ওষুধ কিনে কুরিয়ার করে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছি। তারপরও সেই ওষুধ খেয়ে তেমন কোনো শরীরের পরিবর্তন হয়নি। তবে এখানকার চিকিৎসক বলেছে দ্রæত দেশে এসে চিকিৎসাসেবা নিতে। তা না হলে শরীরের বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমি সরকারের উপর মহলের কাছে জোর দাবি জানায়, আমার স্বামীকে দেশে আসার সকল ব্যবস্থা করে দেয় যেনো।
আমি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তাকে যেন মালয়েশিয়া থেকে দ্রæত ফিরিয়ে আনার সকল ব্যবস্থা করা হয়।