মায়ের কিডনি নিয়েও বাঁচালো না ঝিনাইদহের রাহুল
ঝিনাইদহের চোখ-
মায়ের কিডনি স্থাপন করেও বাঁচাতে পারেনি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র ছেলে রুহুল আমিন রাহুল (২০) কে। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে রোববার সন্ধায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় রাহুলের বাবা-মা। এলাকা ও সহপাঠিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারের আসাদুল মন্ডলের ছেলে ও কোটচাঁদপুর কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষের পরিক্ষার্থী।
পারিবরিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলাবার সকালে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রাহুলের চাচাতো ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ জানান, কয়েক বছর যাবৎ রাহুল কিডনি রোগে ভূগছিলো। দেশে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ভারতে। সেখানেও পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কিডনির সমস্য ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানান কিডনি স্থাপন ছাড়া সুস্থ্য হবে না সে। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে মা আকলিমা খাতুন সিদ্ধান্ত নেন নিজেই কিডনি দিবেন একমাত্র ছেলেকে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের একটি হাসপাতালে মায়ের কিডনি ছেলে রাহুলের শরীরে স্থাপন করা হয়। পরবর্তিতে কিছুটা উন্নতি হলেও পূণরায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোববার সন্ধায় সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।