পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হলো না ইতালি প্রবাসী কোটচাঁদপুরের মঈদুলের
ঝিনাইদহের চোখ-
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই ফিরবেন নিজ বাড়িতে। মা,ভাই-বোন সহ আত্মীয়দের সঙ্গে উদযাপন করবেন ঈদ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাড়ি ফেরা হলো না ইতালি প্রবাসী মইদুল ইসলামের।
বৃহস্পতিবার রাতে হটাৎ অসুস্থ্য হয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। মারা যাওয়ার এক ঘন্টা আগেও কথা হয় পরিবারের সাথে। জানায় একটু অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এর কিছক্ষণ পর ফোনে এক বন্ধু জানায় মইদুল আর বেঁচে নেই। এমন খবরে শোকের মাতম চলছে মইদুল ইসলামের পরিবারে।
প্রবাসী মইদুল কোটচাঁদপুর পৌরসভার বড়বামনদহ গ্রামের মৃত ফকির মালিতার ছেলে। মৃতের ভাই ইন্তাজুর রহমান জানায়, আমরা ৯ ভাই-বোনের মধ্যে মইদুল ছিল ৫ নম্বর। সংসারে একটু স্বাচ্ছন্দ আনতে ২০০৭ সালের দিকে মইদুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানি পথে পাড়ি জমায় লিবিয়ায়।
ওখানে ৫/৬ বছর কাজ করেন। পরে লিবিয়া থেকে চলে যান ইতালি। কয়েক বছর যাবৎ ইতালি আছে। মা-ভাই-বোনের সঙ্গে মাঝে মাঝে তাঁর ফোনে কথা হত। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেও কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
এর কিছুক্ষন পর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর রুমের এক বন্ধু। মইদুলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চায় বৃদ্ধা মা, ভাই-বোন সহ স্বজন ও এলাকাবাসী।
সংসারের একটু উন্নতি করতে জীবন কে বাজি রেখে নৌকা পথে বিদেশে যান মইদুল ইসলাম। বাড়ি ফেরার কথা ছিল ঈদের আগে। এর আগেই গংসার জীবন শুরু করেনি সে। ঈদে আসতে চেয়েছিল বাড়িতে। হয়ত ওই সময় বিয়ে দেয়ার কাজটা করা হত। এ খবর শোনার পর থেকে শোকের মাতম চলছে মইদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বড়বামনদহ গ্রামে।