ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্বামীর কুড়ালের আঘাতে স্ত্রী জুলিয়া খাতুন (২৩) নিহত ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৬ মে) রাত আটটার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্বামী বাবলুর রহমান (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে।
স্ত্রী হত্যাকারী বাবলুর রহমান সেজিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে, ও নিহত জুলিয়া একই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বাবলু মাঝেমধ্যে মাদক সেবন করে এসে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে তাদের পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। শুক্রবার রাত আটটার দিকে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। খবর পেয়ে দ্রুত মহেশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্বামী বাবলুর রহমানকে গ্রেফতার করে। নিহত জুলিয়া খাতুন তিন সন্তানের জননী।
নেপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল আলম জানান, বাবলুর মাথায় সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে পাগল হয়ে যায়। আবার চিকিৎসা করালে ভালো হয়। আর ওর যখন মাথায় সমস্যা হয় তখন বাড়ির সব কিছু ভাঙচুর করে, পরিবারের সবার সাথে ঝগড়া করে। আজও ওর মাথায় সমস্যার কারণে কুড়াল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওর স্ত্রী মারা যায়।
জীবননগর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহা: রাকিবুর হোসেন বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তার মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে পরিবারের লোকজন পাশের জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা স্ত্রী হত্যাকারী বাবলুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।