ঝিনাইদহে মামার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভাগ্নির আত্মহননের চেষ্টা
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর পল্লিতে সম্পর্কে ভাগ্নীকে প্রেমের জালে জড়িয়ে প্রতারণা করায় ভাগ্নীর আত্নহননের চেষ্টা।
ঘটনাটির জন্ম দিয়েছে উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মসজিদ পাড়া’র ঠাণ্ডু মণ্ডলের ছেলে শিশির। সে, সম্পর্কে ভাগ্নি হওয়া সত্বেও দীর্ঘদিন বিয়ের প্রোলভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় জীবনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ।
শিশির বাংলালিংক সিম কোম্পানির এস,আর হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানা গেছে।
প্রতারণার শ্বীকার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মেয়ে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়েছেন, প্রথমে রাজি না হলেও পরে প্রেম করতে বাধ্য হয় সে। সম্পর্কে ভাগ্নি হয় জেনেও তার সাথে মেলামেশা করতে বাধ্য করে মামা শিশির।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে , বিভিন্ন বাসায় নিয়ে গিয়ে চার থেকে পাঁচ বছর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো মামা শিশির। দীর্ঘদিন তারা ঝিনাইদহ ও ঢাকায় লিভ টুগেদারও করেছে। আত্মীয়তার সূত্র ধরে প্রায় দশ বছর ধরে চলে তাদের এই গোপন প্রেম বলে জানান । সঠিক বিচারের আশায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের ঘটনা জানান এবং বিচার দাবী করেন।
সম্প্রতি হঠাৎ কোনও কিছু না জানিয়ে শিশির অন্য মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। লম্পট মামার কোনও খোঁজ খবর না পেয়ে ঈদে বেড়াতে আসে নানা বাড়িতে। এসে যখন দেখে শিশিরের বিয়ে হয়ে গেছে তখন উপায়ুন্ত না পেয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ১৩ জুলাই বুধবার রাতে প্রেমিক শিশিরের বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে পড়লে পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ১৪ জুলাই বিকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ওয়াজেদ আলী মণ্ডলের ছেলে খোকন আলী সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের দাবীতে তিন রাত এক দিন শিশিরের বাড়ীতে অন্বেষণ করেন বলে শুনেছি। ভাগ্নির সাথে এমন ঘটনা মানতে রাজী নয় এলাকার আবুল কালাম আজাদ, সবুজ মণ্ডল সহ আরও অনেকেই। শিশিরের ভগ্নিপতির সম্পর্কে ভাগ্নি । সেই সুবাদে শিশিরেরও ভাগ্নি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায ব্যাপক সমালোচনা সহ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামা শিশির আলী’র সাথে কথা বলতে সরাসরি তার গ্রামের বাড়ী পায়রাডাঙ্গাতে গেলে খোঁজ মেলেনি। পরে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, মোবাইল ফোনের সুইচটি বন্ধ পাওয়া গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত আমি পুরা ঘটনা জানি না। তবে আমি ঘটনাটি অল্প-অল্প ভাষা-ভাষা পরস্পর শুনেছি।
এমন ছেলের পরিচয় দিতে আমার ঘিন্না করে। ঘটনাটি যদি আমি আগেই জানতে পারতাম তাহলে ওদেরকে আমি বিয়ে দিয়ে দিতাম। যে, ছেলে পরিবারের সম্মান জ্বলান-জ্বলি দিতে পারে তাকে তেজ্জোপুত্র করা উচিৎ বলেও জানান শিশিরের বাবা ঠাণ্ডু মণ্ডল। এ ঘটনায় ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য সদর হাসপাতালের অফিস সূত্র জানা যায় রুগীর অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই মহাসিন উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ঠাণ্ডু মণ্ডলের ছেলে শিশিরের সাথে তাঁর ভাগ্নির প্রেমের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওরা পরস্পর পরস্পরের আত্মীয় হয়।
খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম বিষয়টি জানার জন্য।