কোটচাঁদপুর

কোটচাঁদপুরের সেই রাবিয়ার পাশে দাড়িয়েছে অনেকেই

মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ চোখ-

সমাজের কিছু দানবীর মানুষের আর্থিক সহায়তায় এগিয়েছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সেই রাবিয়ার চিকিৎসা। অপারেশনে ফিরে পেতে পারে সে সুন্দর জীবন জানিয়েছেন চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় অর্থের সহায়তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

রাবিয়ার মা সালেহার বেগম বলেন,হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন রাবিয়া খাতুন (১৭)। সম্প্রতি তাঁর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। এ সময় তাকে নিয়ে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা দেখে রাবিয়াকে ভাল চিকিৎসার জন্য ঢাকা ভাল কোন হাসপাতালে নিতে বলেন। অর্থের অভাবে তা সম্ভব ছিল না। তাকে ফিরিয়ে এনে ভর্তি করা হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ সময় সে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিল।

তাঁর ওই অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন কোটচাঁদপুরের গনমাধ্যম কর্মীরা।পত্রিকা আর অনলাইনে তুলে ধরেন রাবিয়ার অবস্থা। এতে করে সমাজের কিছু দানবীর মানুষ এগিয়ে আসেন তাঁর চিকিৎসা সহায়তায়।

আর সেই সহায়তায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারী বিভাগের এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ডাঃ মাহমুদুল হাসান (সজল)এর পরামর্শে এগিয়েছে রাবিয়ার চিকিৎসা। তিনি বলেছেন,অপারেশন হলে ফিরে পেতে পারে রাবিয়া সুন্দর জীবন। এ জন্য প্রয়োজন অর্থের। সে কারনে অর্থের সহায়তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। বর্তমানে রাবিয়া কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

সালেহা বেগম বলেন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর বাজার পাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তিনি। অল্প বয়সেই বিয়ে হয়,তাঁর সঙ্গে। সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক তারা। তাদের এক মেয়ে সাথী খাতুন (২২) আরেক মেয়ে রাবিয়া খাতুন (১৭)। পারিবারিক জীবনে বেশ সুখী ছিল তারা। হঠাৎ করে স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যায় শহিদুল ইসলাম। থমকে যেতে থাকে সংসারের চাকা। পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যায় দুই মেয়ে। বিয়ে দিয়ে দেন সাথীকে। এরমধ্যে হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা ধরা পড়ে রাবিয়ার।

চিকিৎসা শুরু করেন তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে রাবিয়ার। এতে করে সহায় সম্বল সব শেষ। রাবিয়ার চিকিৎসা সহায়তায় পাঠাতে যোগাযোগ করুন,এই মোবাইল নাম্বারে -০১৩১৪৪৮৪৪৪৭।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button