টপ লিডমহেশপুর

ঝিনাইদহে রাস্তার গাছে মড়ক, গাছগুলো কেটে নেওয়ার হিড়িক

ঝিনাইদহের চোখঃ

প্রায় ১৮ বছর পূর্বে রোপন করা শিশু গাছগুলো মারা যাচ্ছে। হঠাৎ করে চলছে এই মড়ক। কেন এভাবে গাছগুলো মারা যাচ্ছে, তা দেখার কেউ নেই। উল্টো শুকিয়ে যাচ্ছে অজুহাতে প্রায়ই কাটা হচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় ভুমিকা রাখা এই বৃক্ষ। ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ-বাথানগাছি সড়কের। এখনও অনেক গাছ সবুজ তরতাজা অবস্থায় দাড়িয়ে আছে।

স্থানিয়রা বলছেন, দেড় কিলোমিটার রাস্তার ধারের গাছগুলো বড় হচ্ছিল। পাশাপাশি রাস্তার শোভা বাড়িয়েছিল। কিন্তু মড়ক লেকে গাছগুলোর মৃত্যু দেখে তাদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। এগুলো বাঁচানোর বিষয়ে যারা লাগিয়েছিলেন তারা অথবা বন বিভাগ দেখবেন বলে তারা আশা করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা শহর থেকে একটি সড়ক চলে গেছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার পুড়াপাড়া বাজার। এই সড়কের বেলেমাঠ থেকে বাথানগাছি পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে রয়েছে সারিবদ্ধ গাছ। যার কিছু মরা অবস্থায় আবার কিছু গাছ আছে সবুজ তরতাজা।

ওই রাস্তার ধারের দোকান আছে এমন এক ব্যবসায়ী শরফরাজ বিশ^াস জানান, ইতিপূর্বে তাদের গ্রামের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটি কাঁচা ছিল। ২০০২ সালে এটা পাঁকা করে এলজিইডি বিভাগ। পাঁকা করার পর রাস্তার দুই ধার দিয়ে গাছ লাগানো হয়। নানা প্রজাতির গাছের মধ্যে ছিল বেশ কিছু শিশু গাছ। এগুলো ক্রমেই বড় হয়ে রাস্তার শোভা বৃদ্ধি করেছে। ২০১৪-১৫ সালের দিকে গাছগুলো দেখলে চোখজুড়িয়ে আসতো।

তিনি আরো জানান, সাধারণত রাস্তার ধারের গাছ নানা ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। কখনও ছাগল-গরুতে খেয়ে নেয়, আবার কখনও কেটে ফেলা হয়। কিন্তু তারা এলাকার মানুষ গাছগুলোকে যতœ করেছেন। যে কারনে দ্রুতই বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত ৩ থেকে ৪ বছর হলো গাছগুলো মারা যেতে শুরু করে। দ্রুতই একটা থেকে আরেকটা এভাবে মারা যেতে থাকে গাছ।

স্থানিয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন জানান, গাছগুলো মারা যাওয়ার কারণ খোজা হয়নি। কিভাবে এগুলো বাঁচানো যায় সে বিষয়েও কেউ ভাবেনি। উল্টো গাছ মারা গেলেই এক শ্রেণীর মানুষ সেগুলো কেটে নিয়ে গেছে। এখনও মরা গাছ কাটা হচ্ছে। তিনি বলেন, এভাবে গাছ মারা যাওয়া এটা এক ধরনের রোগ। এই রোগ নির্নয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে গাছগুলো বঁচানো সম্ভব হতো। যা পরিবেশের জন্য খুবই জরুরী।

এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, শিশুগাছে এক ধরনের মড়ক প্রায়ই লেগে থাকে। যখন মড়ক লাগে তখন গাছ বাঁচানো কষ্টকর হয়ে যায়। যে কারনে তারা এখন আর রাস্তার ধারে শিশু গাছ লাগান না। ওই রাস্তার গাছগুলোর অবস্থা কি তা তিনি সরেজমিনে দেখবেন বলে জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button