তাজনুর রহমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
৪৭ বছর ধরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কটি শৈলকুপা বাসির দু:খ হয়ে রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে হাজারো খানাখন্দ নিয়ে শৈলকুপার প্রধান এ সড়কটির পথচলা। ৬.২ কিলোমিটারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ সড়কটিই ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহা-সড়ক থেকে শৈলকুপা প্রবেশের প্রধান সড়ক। প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্য নিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় হাজারো পরিবহনের যাতায়াত এ সড়কটি দিয়ে।
অথচ কয়েকবার মাইনর নেচার সংস্কার ছাড়া স্থায়ী সংস্কার হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও সম্পূর্ণ সড়কটির বড় ধরনের সংস্কার প্রস্তাবনা অনুমোদন না হওয়ায় বেহালদশা হয়ে আছে সড়কটির। আবার যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান ৬ কিলো পার হতে গাড়ীতে তাদের থাকতে হয় আতংকের মধ্যে।
শৈলকুপার ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল গাফফারের সাথে কথা হলে তিনি জানা, শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কটি তাদের দু:খ। গাড়ী চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। একটু পরপর খানাখন্দ। প্রতিদিন আনুমানিক ৪ শতাধিক ভারী যানবাহন পণ্য ও যাত্রী নিয়ে চলাচল করে এ পথ ধরে। শুধু শৈলকুপা না পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলাতে পণ্য যায় এ সড়কটি দিয়ে। শৈলকুপা বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া পিয়াজ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত শৈলকুপা। ব্যবসায়ীক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ভারী যান চলাচলের উপযোগী করে এ সড়কটির দ্রুত মেরামতের দাবি জানান এ পরিবহন শ্রমিক।
শৈলকুপার বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইকবাল হোসেন বলেন, শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ২ শতাধিক মাহেন্দ্র ও বাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। অথচ এ সড়কটির একটু পরপরই গর্ত। প্রতিদিন যাতায়াতের সময় ছোট খাটো দূর্ঘটনা লেগেই আছে। তাছাড়া যেখানে শৈলকুপা থেকে গাড়াগঞ্জ যেতে তাদের ৪০ টাকার জ্বালানী খরচ হওয়ার কথা সেখানে রাস্তা খারাপ হওয়ায় জ্বালানী খরচ বেশী হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া মাঝে মধ্যেই গাড়ী নিতে হচ্ছে গ্যারেজে। তিনি হতাশার সাথে বলেন কি কারনে যে শৈলকুপার এ সড়কটি মেরামতের কাজ হয় না তা তার বোধগম্য না।
শৈলকুপা থেকে ঢাকাগামী নিউ এসবি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জামাল উদ্দিন বলে, বেহালদশা শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন এসবি, শ্যামলী ও অন্যান্য পরিবহনের ২৬টি গাড়ি যাতায়াত করে।
নিয়মিত যাতায়াতকারী মাহেন্দ্র পরিবহনের যাত্রী নাসির হোসেন বলেন, শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কের যে দশা গাড়ী থেকে নেমেই ঔষধ খেতে হয় তাদের।
শৈলকুপা বেহালদশা এ সড়কটি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহমেদ বলেন ৬.২ কিলোমাইলের শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কতদিন আগে এ সড়কটি মেরামত করা হয়েছিল তা তার সঠিক ভাবে জানা নেই।
তিনি স্বীকার করেন সড়কটির বেহালদশার কথা। তিনি জানান সম্পূর্ণ সড়কটি মেরামতের প্রস্তাবনা অনুমোদন না হলে সংস্কার সম্ভব না। গত বছর ৬ লাখ টাকা ব্যায়ে মাঝে মাঝে খানাখন্দ সংস্কার করা হলেও ভারী যানবাহন চলাচল করায় তা আবার আগের অবস্থা।