ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের আরও দুই পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরা হলেন এসআই মাহফুজুল হক এবং এএসআই নুরুন নবী।
মাহফুজুল হককে এসআই থেকে এএসআই ও অপরজনকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়েছে।
১৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা বিভাগীয় মামলায় এ সাজা দেয়া হয় তাদের। দুজনই জেলার মহেশপুরের দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর প্রকাশ্যে মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাড়ির পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই মাহফুজুল হক, এএসআই নুরুনবী, কনস্টেবল হোসেন আলী ও সোহল রানা চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাসিন্দা উয়াজির আলীর ১৬ লাখ টাকা ভর্তি একটি থলি ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনার খবর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশ করা হয়। খবরের সূত্র ধরে মাঠে নামেন পুলিশ সিকিউরিটি সেল ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হোসেন মোড়ল ও পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান তারা।
পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ৪টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন বিভাগীয় মামলাগুলোর তদন্ত করেন।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাহফুজুল হককে এসআই থেকে এএসআই ও অপরজনকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহিলাসহ এক ব্যক্তির নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মো. রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভাগীয় মামলার তদন্ত করছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের বর্তমান পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন,ব্যক্তির দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। অপরাধ করলেই তাকে শাস্তি পেতে হবেই। পুলিশের কোনো সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, দুর্নীতি, অযথা মানুষ হয়রানি, মাদক বাণিজ্যর সঙ্গে জড়িত হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভালো কাজের মূল্যায়ন করা হবে এবং অসৎ কাজের জন্য কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেন তিনি।