ঝিনাইদহের প্রতিবন্ধী যুবক বোমা হামলার আসামী
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমন হোসেন (২২) হাইকোর্টে এসেছেন ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় জামিন নিতে। সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, “তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত।”
“জন্ম থেকেই সুমন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার ডান হাত-পায়ে শক্তি নেই বললেই চলে। তিনি ঝিনাইদহ জেলার একটি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। আগাম জামিন নেয়ার জন্য বিশ দিন ধরে হাইকোর্টে ঘুরছেন তিনি। তবে, এখনও তার জামিন মেলেনি।”
“সুমন লিখেন বাঁ হাতে, হাঁটেন খুঁড়িয়ে। প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কোনোমতে লেখাপড়াটা চালাচ্ছেন। কিন্তু পড়ার টেবিল ছেড়ে এখন আদালতের বারান্দায় তাকে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে।”
সুমনের বাবা আবুল কাশেম ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। কাশেম বলন, “আমার ছেলে ঘটনার সময় ঘরেই ছিলো।” ওই মামলার বাদী বলেন, “সুমন কোনও ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত নন। ছেলেটা নিরীহ।”
সুমনের সাথে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) আদালতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর থানার বিভিন্ন নাশকতার মামলার ১৩৭ আসামি। মঙ্গলবারও তাদের জামিন শুনানি হয়নি। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
এদিন সকাল নয়টা হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আদালত চত্বরে ছিলেন সুমন। আড়াইটার দিকে জানতে পান, তাদের জামিন শুনানি পেছানো হয়েছে। এ কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার আর ভাল লাগছে না। এমন শরীর নিয়ে আগেও জামিন নেয়ার জন্য আদালতে এসেছিলাম। আজও জামিন হলো না, আগামীকাল (বুধবার) আবারও আসতে হবে।”
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কাজী মো. কামাল হোসেন বলেন, “প্রতিবন্ধী সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণের মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।”