ঝিনাইদহে আদম ব্যাপারীর খপ্পড়ে পড়ে ৯ যুবক নিখোঁজ
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারার ৮ ব্যাক্তি আদম ব্যপারীর কথায় খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় যেতে গিয়ে প্রায় আড়াই বছর এবং মহামায়া গ্রামের এক ব্যাক্তি দীর্ঘদিন নিখোঁজ রয়েছে। এই ঘটনায় গাড়ামারা গ্রামের অভিযুক্ত দালাল আতিয়ার রহমানের নামে মামলা করা হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশ চলে গেছে। তাদের ভাগ্যে কি ? পরিনত হয়েছে তা কারোই জানা নেই। দিন যতই পার হচ্ছে জীবিত ফিরে পাবার আশা পরিবারের নিকটজনদের ততটাই ফ্যাকাশে হচ্ছে।
সরেজমিন জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা সদরের হলিধানি ইউনিয়নের গাড়ামারা গ্রামের জনৈক আতিয়ার রহমান নামের আদম ব্যাপারীর চটকাদারি কথার খপ্পরে পড়ে মালেয়েশিয়ায় যাবার সিন্ধান্ত নেয় আট যুবক। তারা হলেন- গ্রামের মধ্য পাড়ার ইদ্রিস আলির ছেলে আবু বকর (৩০), পচা মোল্ল্যার ছেলে লাল চাাঁদ (৪০) বসির উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা মচু (২৮) শাহী উদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন (৩৪), শহর আলির ছেলে নাজমুল হক (৩৫), লুৎফর রহমানের ছেলে অলিয়ার রহমান (২৬) এবং দুলাল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন (৩৫) প্রায় আড়াই বছর এবং একই উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের জনৈক জালাল উদ্দিন মলয়েশিয়ার যাবার পর দীর্ঘদিন নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের সাথে কোন যোগযোগ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আদম ব্যাপারী আতিয়ার রহমানের পরিবারে সাথে কথা বলতে চাইলে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। আবার আতিয়ার বিদেশ থাকায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে গাড়ামারার ভুক্তভোগি পরিবারের কয়েকজন জানান, সকলেই একই বয়সের, একই সাথে থাকতো এবং কাজ করত। তারা গ্রামের আতিয়ার নামের এক দালালের খপ্পড়ে পড়ে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি টাকা চুক্তি করে মালেয়েশিয়ায় জন্য বাড়ি থেকে ঢাকাই যায়। যাবার পর জানতে পারলাম দালাল তাদের পানি পথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাবে। ট্রলারে উঠার পর শেষ কথা হল। আর দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর কোন যোগাযোগ নেই। দালাল আতিয়ারের নামে মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ আতিয়ারকে আটক করেছিল। কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ছেলেদের। আতিয়ার কিছু দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে এসে মলয়েশিয়ায় চলে গেছে। এখন আর ছেলেদের সম্পর্কে কেউ কোন খোঁজ খবর দিতে পারেনা। তবে দিন যতই পার হচ্ছে জীবিত পাবার আশা অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। পরিবারে স্ত্রী দীর্ঘ শ^াস আর সন্তানদেও পিতার জন্য পথ চেয়ে থাকা, মায়েদেও সন্তান নিখোজ থাকায় পাড়াটিতে চলছে শুনশান নিরবতা। তাদের স্বান্তনা দেয়ার কথা এখন হারিয়ে ফেলেছি।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
তবে এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মিজানুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।