শাহরিয়ার আলম সোহাগ
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয় ৭ বীর সন্তানকে। দেশ স্বাধীন করার জন্য সকলেই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু তাদের শাহাদাৎ বার্ষিকী সরকারিভাবে পালন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামের নাম হামিদনগর করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেটা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হোন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান।
রোববার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ।
এছাড়া, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পৈতৃক বাড়িতে তার পিতা মরহুম আক্কাস আলী মন্ডলের কবর জিয়ারত ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সেজো ভাই শুকুর আলী বলেন, আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। কিন্তু আমার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী সরকার পালন না করায় আমরা হতাশ। সরকারের প্রতি অনুরোধ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এসব দিনগুলো সরকারিভাবে পালন করার জন্য।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাতিজা হাফিজুর রহমান বলেন, অনেকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে আমার চাচার শহীদ দিবস পালন করা হয় না। দেশে মাত্র ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ। তাদের জন্য সরকারের এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল বলেন, আমি তিন মাস হলো মহেশপুর এসেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও অনুমতি না থাকায় এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনটি পালন করা সম্ভব হয়নি। আমি বিষয়টি ডিসি স্যারের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে জানাবো।