লাল-সবুজের ক্যাম্পাস ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগতম
আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠে শিক্ষাথীর্রা। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউবা বিসিএস ক্যাডার। স্বপ্ন অনুযায়ী শিক্ষাথীের্দর পছন্দের তালিকায় থাকে মেডিকেল, প্রকৌশল, ঢাবি, জাবি এবং রাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিকের গÐি পেরুনোর পরই শুরু হয় স্বপ্নের পথে যাত্রা। দীঘর্ দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে অনেকটা বেগ পেতে হয় শিক্ষাথীের্দর। আথির্ক সংকট, আসন স্বল্পতাসহ নানা কারণে পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভতির্র সুজোগ পায় না অনেকেই। এক পযাের্য় বাধার প্রাচীর মাড়িয়ে দেশের সবোর্চ্চ বিদ্যাপীঠগুলোয় স্থান করে নেয় মেধাবীরা। দেশের উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠগুলো প্রতি বছর হাজার হাজার জনসম্পদ তৈরি করে চলছে। তেমনি, উন্নত নাগরিক, যুগোপযোগী ও দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করে চলেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সবোর্চ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ কিলোমিটার দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পার করেছে প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবষর্ থেকে তিনটি বিভাগ ৮ জন শিক্ষক ও তিনশত শিক্ষাথীর্ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বতমাের্ন এ বিদ্যাপীঠে পঁাচটি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগে ২ হাজার ২৭৫টি আসনে শিক্ষাথীর্ ভতির্র সুযোগ পায়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে আবাসিক, পরিবহন, খেলাধুলা ও স্ব্যাস্থ্য সেবার সু-ব্যবস্থা। এ ছাড়াও মুক্তসংস্কৃতি চচার্, মুক্তবুদ্ধি চচার্ এবং বিতকর্ চচার্র মাধ্যেমে বিকশিত হওয়ার অবারিত সুযোগ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উন্নত জাতি গঠন, দক্ষ নাগরিক ও মানসম্মত শিক্ষা বিতরণে অগ্রণী ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে। প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনেক শিক্ষাথীর্ দেশে ও বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।
পড়াশোনার জন্য দরকার নিমর্ল প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রকৃতির অপার সৌন্দযের্ ঘেরা ক্যাম্পাসে রয়েছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচ‚ড়া, সূযর্মুখী, শিউলী, কদম ফুল, কাশফুল, বেলিসহ হাজারো হৃদয় কাড়া বাহারি ফুলের সমাহার। সবুজের নীলিমায় জড়ানো ক্যাম্পাস যেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখপাখালির অভয়ারণ্যে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন চত্ব¡র। চত্ব¡রগুলো সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত শিক্ষাথীের্দর আড্ডা, র্যাগ ডে, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে মুখরতি থাকে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে আপনার স্বপ্নের ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচাযর্ অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘নিঃশব্দ পদচারণায় শান্ত ও নিমর্ল পরিবেশে অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাথীের্দর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়াও আমাদের শিক্ষকরা অত্যন্ত যোগ্য। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যোগ্য এবং অপেক্ষাকৃত অধিকতর যোগ্য শিক্ষক রয়েছে এখানে। বতর্মানে এ প্রতিষ্ঠানটি আন্তজাির্তকীকরণের পথে হঁাটছে এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চলেছে।’
উপাচাযর্ অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘ধমর্তত্ত, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, ফলিত বিজ্ঞান প্রযুক্তি, আইন এবং বিজনেস সংক্রান্ত অত্যাধুনিক বিষয়সমূহে আইসিটি সুবিধা সংবলিত পঠন-পাঠন এবং গবেষণার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আদশর্ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।’