নির্বাচন ও রাজনীতি

শেখ হাসিনার মাসিক আয় কত?

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাৎসরিক আয় ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৪ হাজার টাকা। কৃষিখাত, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা (রয়্যালিটি বাবদ), শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, চাকরি (সম্মানী ভাতা) ও অন্যান্য খাত থেকে তিনি এ আয় করে থাকেন। সে হিসেবে তার মাসিক আয় ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮২ টাকা ৮৩ পয়সা।

এছাড়া তার সম্পত্তির পরিমাণ ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৮ টাকা। হাতে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, দানে প্রাপ্ত গাড়ি, অলংকার, ও আসবাবপত্র এবং কৃষি জমির মূল্য হিসেবে তিনি তার হলফ নামায় এ মূল্যের সম্পদ দেখিয়েছেন।

এছাড়া তার কোনো দায়-দেনা-ঋণ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

হলফনামায় শেখ হাসিনা তার স্বামীর নাম উল্লেখ করেছেন এম. এ. ওয়াজেদ, মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, ঠিকানায় লিখেছেন বাসা-৫৪, রাস্তা-৫, ধানমন্ডি আ/এ, নিউমার্কেট, ঢাকা।

নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্য বিএ পাশ। বর্তমানে কোনো ফৌজদারী মামলা নেই তার। অতীতে ১৬টি মামলা দায়ের হয়েছিল।

শেখ হাসিনা তার আয় উল্লেখ করেছেন— কৃষিখাত থেকে ৩লাখ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ১লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫টাকা। ব্যবসা (রয়্যালিটি বাবদ) থেকে আয় ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১২ লাখ টাকা।

পেশা থেকে আয় উল্লেখ নেই। চাকরি (সম্মানী ভাতা) থেকে আয় ১৬লাখ ৩৮ হাজার টাকার। অন্যান্য খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬০টাকা। বছরে মোট আয় ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে মাসে আয় করেন মোট ৬লাখ ৪৫ হাজার ৭৮২ টাকা ৮৩ পয়সা।

নির্ভরশীলদের আয়ের তথ্যের ঘরে প্রযোজ্য নয় লেখা হয়েছে।

শেখ হাসিনার সম্পদের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে— নগদ টাকার পরিমাণ ৮৪ হাজার ৫৭৫ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ৭ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৩ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫লাখ টাকা। দানে প্রাপ্ত ৬লাখ টাকার যানবাহন থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। অলংকার রয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার। এছাড়া ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে তার হলফ নামায়।

এছাড়া ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার (অর্জিত সময়ের মূল্য) ৬ একর কৃষি জমি আছে। অর্জিত সময়ের মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এছাড়া তার কোনো দায়-দেনা-ঋণ নেই।

হলফনামায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে— ১২টি মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন। একটি খারিজ হয়েছে। দু’টি মামলার বিবরণীতে লেখা হয়েছে- অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তা সিএমএম আদালত ঢাকা কর্তৃক গৃহীত হয়। অন্যটির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- এজাহারে নাম ছিল না। চার্জশিটে নাম অন্তর্ভূক্ত করা হলে আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button