ক্যাম্পাস

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটি ৭৫ দিন

ঝিনাইদহের চোখঃ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) অনুমোদন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিন দিনসহ মোট ৭৫ দিন ছুটি রেখে ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। শিক্ষাপঞ্জিতে ক্লাস-পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল (৮ দিন) প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এবং পহেলা আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা, ২০ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (সম্ভাব্য) এবং ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা (১ম থেকে ৪র্থ পর্যন্ত) অনুষ্ঠিত হবে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে পরীক্ষার সময়সূচি মোতাবেক বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে। বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নিজ নিজ বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

উল্লেখযোগ্য ছুটির মধ্যে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, রমজান, বুদ্ধ পূর্ণিমা, জুমাতুল বিদা, শবে-বরাত ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৩৫ দিন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ আগস্ট পাঁচদিন; জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট একদিন; দুর্গাপূজা তিনদিন, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর একদিন এবং শীতকালীন অবকাশ ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ছয়দিন ধার্য করা হয়েছে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে আরও বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ছাড়া বছরে মোট ছুটি ৭৫ দিন। সরকার যেসব দিনকে সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে সেসব দিন উক্ত ৭৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।

বিদ্যালয় কার্যক্রমের সময়সূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার ২টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা রাখা হবে। ক্লাস কার্যক্রম সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৪ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার ২টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত চলবে। প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১২ পর্যন্ত (২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট) চলবে।

অন্যদিকে, এক শিফট বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণির ক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য সকাল ৯টা ১৫ থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১৫ মিনিট অর্থাৎ ১৫ মিনিট শিক্ষকরা সমাবেত হয়ে সমাবেশ করবেন। আর দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় শ্রেণির জন্য সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ১২টা ১৫ মিনিট ও ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এ স্তরের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ১৫ আর্থাৎ ১৫ মিনিট সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মঘণ্টা হিসেবে ১ম ও ২য় শ্রেণির এক শিফট বিদ্যালয়ের জন্য ৯২১ ঘণ্টা, দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৬০০ ঘণ্টা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির এক শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১ হাজার ২৩১ ঘণ্টা ও দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৭৯১ ঘণ্টা ধার্য করা হয়েছে।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস যথা- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button