ইবির পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা
ঝিনাইদহের চোখঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে।
রবিবার (২৭ জানুয়ারি) ক্লাস বর্জন করে ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে প্রেস ব্রিফিং করে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো নিয়ে নতুন অনুষদ চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিল ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভেঙে ৩টি অনুষদ করার প্রস্তাব করে প্রশাসন। গত বছরের ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদন দেয় অর্গানোগ্রামটি। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভেঙে সায়েন্স অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ এবং বায়োলজি অনুষদ করা হয়।
এখানে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়ে চালু হয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ। উক্ত অনুষদ চালুর পাশাপাশি ওই অনুষদভূক্ত ৫টি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। তবে চলমান শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এই ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে না।
উক্ত অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীরা জানায়, অনুষদ চালু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবি জানিয়ে আসছে। অনুষদভুক্ত পাঁচ বিভাগের সভাপতি ও অনুষদীয় ডিন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। তারা আশ্বাস প্রদান করলেও এখনো এ দাবি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাধ্য হয়ে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছে।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্ররা আমাকে কিছুই জানায়নি। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাস বর্জন করে থাকে এটি ঠিক করেনি। দাবি থাকলে তা বাস্তবায়নের একটি সুষ্ঠ পদ্ধতি আছে। সঠিক পদ্ধতিতে যৌক্তিক দাবি আমার কাছে উপস্থাপন করলে অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।