টপ লিডশৈলকুপা

ঝিনাইদহে অতিবৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন হাটুপানির নিচে

টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ধান, পাট, পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য ফসলের চাষ করে ক্রমাগত লোকসান গোনার পরও বেঁচে থাকর তাগিদে যখন তারা ওইসব ফসলের চাষ করেছেন, অপেক্ষা করছেন ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলার, ঠিক সে মুহুর্তে মাঝ ফাল্গুনের অসময়ের বৃষ্টি ধুলিস্মাৎ করে দিল সে স্বপ্ন। এসব ফসল এখন হাটু পানির নিচে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষেত থেকে পানি সরে যাবার সাথে সাথেই ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা বলে প্রসিদ্ধ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সোন্দাহ, পাইকপাড়া ও হরিহরা গ্রামের কয়েকজন পেঁয়াজচাষি জানালেন, সোমবার ভোর থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ও অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে হাটুপানি জমেছে। ওইসব ফসল থেকে বৃষ্টির পানি সরতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আর এরই মধ্যে পচে যাবে অধিকাংশ ফসল। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরণপুর ও কামারকুন্ডু গ্রামের কৃষকরাও একই কথা জানালেন।
কৃষকরা জানালেন, অসময়ে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ ও রসুন ক্ষেতেই পচে যাবে। যেসব গাছ বেঁচে থাকবে, তা থেকে কলি বা ফুল বের হয়ে ফসল কাটা বিলম্বিত হবে। এতে উৎপাদন যেমন কমে যাবে, এর মানও নষ্ট হবে। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি বেশ বেড়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, টানা বৃষ্টিতে রবি মৌসুমে সব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি শেষে সকল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা উপপরিচালক জিএম আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সোমবার চার মিলিমিটার, মঙ্গলবার চব্বিশ মিলিমিটার এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত পঁচিশ মিলিমিটার এবং বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাৎ ঝিনাইদহে রেকর্ড করা হয়েছে। মধ্য ফাল্গুনের বৃষ্টি যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এখানে কৃষকরা সবাই এর শিকার। বৃষ্টির পানি সরে যাবার পরই ক্ষেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দিতে তাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button