নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে মাস ধরে বন্ধ ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজ
ঝিনাইদহের চোখঃ
আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের জেরে এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দেখা দিয়েছে সেশনজটের আশঙ্কা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঝিনাইদহ শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে হলিধানি এলাকায় কলেজটি স্থাপন করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। প্রথম থেকেই কলেজটিতে ছাত্র আন্দোলন দানা বাঁধে। প্রথমে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটিকে পৃথক ফ্যাকাল্টি করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পালন করেন বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচির মতো কার্যক্রম। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন জোরদার করে মূল দাবির সঙ্গে আরো বেশ কয়েকটি দাবি যুক্ত করা হয়। তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে।
এরই মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষের নেতৃত্ব নেন ছাত্রলীগ নেতা লুবান মাহমুদ মিশুক এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ফাহিম হোসেন। আর এ নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধের জেরে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। আহত হন অন্তত ১০ শিক্ষার্থী। বাধ্য হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে গত ১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এক মাস ধরে কলেজে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। এতে আমাদের সেশনজটসহ নানা সমস্যায় পড়তে হবে। তারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে কলেজটি চালু করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. অমলেন্দু ঘোষ জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। বিবদমান দুই পক্ষকে এক টেবিলে আনা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে কলেজটি চালু করা যাবে।