মহেশপুর

মহেশপুরে কালবৈশাখীর ঝড়ে ফসল ক্ষেত লণ্ডভণ্ড

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরের উপর দিয়ে কালবৈশাখীর ৭ মিনিটের ঝড়ে ফসলের ক্ষেত-রাস্তার দু’ধারের বিভিন্ন জাতের গাছ আর বিদ্যুতের তার গুলো ছিড়ে একে বারেই লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। এ সময় কাঁচা-পাকা প্রায় অর্ধশত ঘর কালবৈশাখীর কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,মহেশপুর পৌর এলাকার বেগমপুর, বৌচিতলা, নওদাগ্রাম, বোয়ালীয়া, জলিলপুর, পাতিবিলা, গাড়াবাড়ীয়া, গোপালপুরসহ পান্তাপাড়া, এস,বি,কে, ফতেপুর, ¯^রুপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজিরবেড়, বাঁশবাড়ীয়া, নাটিমা, যাদবপুর, মান্দারবাড়ীয়া, আজমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ফসলের ক্ষেত-রাস্তার দু’ধারের বিভিন্ন জাতের গাছ আর বিদ্যুতের তার গুলো ছিড়ে একে বারেই লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। সব থেকে ধান আর কলা বাগানের ব্যপক ক্ষতি কয়েছে বলে জানান গ্রামের কৃষকরা।

ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যার ডাঃ আতাউর রহমান জানান,একটু খানির কালবৈশাখীর ঝড়ে ফতেপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠের ক্ষেতের ধান গাছ গুলো একেবারেই মাটির সাথে মিসিয়ে দিয়ে গেছে। আর মাঠের কলা গাছ গুলোর মাজার থেকে ভেঙ্গে দিয়ে গেছে কালবৈশাখীর ঝড়ে।

পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, ইতি পুর্বেও ঝড় হয়েছে। কিন্তু এবারের কালবৈশাখীর ঝড়ে ফসলের ক্ষেত-রাস্তার দু’ধারের গাছ আর বিদ্যুতের গুলো ছিড়ে একেবারেই তছনছ হয়ে গেছে। এই মুর্হুতে আমার এলাকার কৃষকের ধানের ক্ষেতের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা ভোলার মত না।

মান্দারবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাস জানান, মাত্র ৭ মিনিটের ঝড়ে মাঠের ধান,কলা ক্ষেত,বিদ্যুতের রাত ছিড়ে একে বারেই লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। রাস্তার পাশের দু’ধারের গাছ গুলো রাস্তার উপর ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকার অনেক কাঁচা-পাকা ঘর ভেঙ্গে গেছে। আবার অনেক ঘরের টিনের চাল উড়ীয়ে নিয়ে গেছে কালবৈশাখীর ঝড়ে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু তালহা জানান, কালবৈশাখীর ঝড়ে আমাদের ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে কয়েকটি এলাকায় মাঠের কলা গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক এলাকার গাছেন আম ঝড়ে পড়েছে। তাতে এবার আমের ফলন কিছুটা কমে গেলো। তাছাড়া আর তেমন ক্ষতি হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল জানান, কয়েকটি এলাকার মাঠেন ধান পড়ে গেছে। গাছেন আম ঝড়ে পড়েছে। তবে ঠিক কতটা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে তা এখনও আমি জানতে পারেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button