দেখা-অদেখা

কুড়িগ্রাম; প্রাগৈতিহাসিক আদিম সভ্যতার লীলাভূমি

ঝিনাইদহের চোখঃ

কুড়িগ্রাম জেলা উত্তরের একটি জনপদ। এই জনপদের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস এবং স্বকীয়তা। সুদীর্ঘ সময় নিয়ে গড়ে উঠেছে এর ঐতিহ্য। অনেক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গড়ে উঠেছে এ জনপদের মানুষ ও তাদের জীবনধারা। রংপুর বিভাগের এই জেলার ইতিহাস বড় বিচিত্রময়।

বহু প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক আদিম সভ্যতার লীলাভূমি এ জনপদ। এ এলাকায় আদিম মানুষের প্রথম আবির্ভাব ঘটেছিল ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা উপত্যকায়। পর্যায়ক্রমে নিগ্রো-অষ্ট্রিক দ্রাবিড়-মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীদের মিলনে গড়ে উঠেছে এখানকার প্রাচীন সভ্যতা, যা সর্বজন স্বীকৃত। একসময় গৌড়বর্ধনে এবং পরে প্রাগজ্যোতিষপুরে অন্তর্ভুক্ত ছিল এ অঞ্চল।

কুড়িগ্রাম জেলার নামকরণের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। অনেক মতবাদ থাকলেও প্রমাণযোগ্য কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি। সবটাই প্রচলিত জনশ্রুতি। তার মধ্যে একটি হল, অজানা কোনো এক সময়ে মহারাজা বিশ্ব সিংহ কুড়িটি জেলে পরিবারকে উচ্চ শ্রেণীর হিন্দু পরিবারের স্বীকৃতি দিয়ে এই এলাকায় পাঠান। এ কুড়িটি পরিবারের আগমণের কাহিনী থেকে কুড়িগ্রাম জেলার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

লেখক বিলু কবীরের লেখা ‘বাংলাদেশের জেলা নামকরণের ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলে কুড়িটি মেচ্ তৈলজীবী পরিবারের বসতি ছিল বলে কুড়িগ্রাম নাম দেওয়া হয়েছে। আবার এমনটা লোকশ্রুতি আছে যে, এই গ্রামে কুরী নামে একটি হিন্দু নৃগোষ্ঠী বসবাস করত বলেই এই অঞ্চলটির নাম হয়ে যায় ‘কুড়িগ্রাম’। এই ধরণের নানান জনশ্রুতি রয়েছে।

এ অঞ্চলে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তার মধ্যে কিছু দর্শনীয় স্থান হল- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক, চান্দামারী মসজিদ, বেহুলার চ্র, চতুর্ভূজ সেনপাড়া শিব মন্দির, ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ী, নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, পাঙ্গা জমিদার বাড়ি, ভিতরবন্দ জমিদার বাড়ী, দাশিয়ার ছড়া, চিলমারী বন্দর, মাধাইখাল কালী মন্দি্র, জয়মনিরহাট জমিদারবাড়ি, বহলকুড়ি ভারত ও বাংলাদেশ ১০০১ নাম্বার রাষ্ট্রীয় সিমানা চুক্তি পিলার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button