টপ লিডশৈলকুপা

ঝিনাইদহের সত্যিকারের গল্প

টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ

ছবিটিতে যে মানুষটিকে আপনার দেখতে পাচ্ছেন তার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলারই অন্তর্গত ১২ নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের সাপখোলা গ্রামের অসহায় ইউসুফ হোসেন(৬০)।

জন্মগতভাবেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। দু’পা আর দু’হাতের ওপর ভর দিয়েই চলাফেরা করে থাকে। পেশা তার ভিক্ষা করা। তার স্ত্রী, এক মেয়ে আর এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সংসার। ছেলেটা ইউসুফের মতই প্রতিবন্ধী। সেও বাজার বাজার ভিক্ষা করে বেড়ায়। ইতিমধ্যে ইউসুফ অনেক কষ্ট করেই মেয়েটাকে বিবাহ দিয়েছে। তবে জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী ইউসুফ এখন শেষ বয়সেও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জীবিকা নির্বাহ করেন।

বৃহস্পতিবার অত্র প্রতিবেদকের সামনে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত দোকানগুলোতে ভরদুপুরে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ভিক্ষারত অবস্থায় কোন এক দোকানে ইউসুফের চোখে পড়ে লাল শাড়ির ওপর।

দোকানীকে আহবান জানান ব্যাগের ভিতরে গচ্ছিত সমুদয় উপার্জিত টাকা দিয়ে লাল শাড়িটি দেওয়া যাবে কি? পাশে থাকা প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করে আপনি লাল শাড়ি কাকে দিবেন? তিনি ভাঙা ভাঙা কন্ঠে প্রতিবেদককে জানান আমার অনেক দিনের স্বপ্ন আমার মণির মাকে লাল শাড়ি দিতে মন চায়। তাই ঈদকে সামনে রেখে আমি আমার মণির মাকে লাল শাড়িটি দিব। তবে দেখা যায় সর্বমোট তার গচ্ছিত ব্যাগে টাকার পরিমাণ দাড়াই ২’শত পঁয়ত্রিশ। তার এই চাহনিতে দোকানী টাকা ফেরত দিয়ে শাড়ীটি ব্যাগে গুজিয়ে দেন।

তাহলে কি আমরা পারিনা এমন হাজারও ইউসুফকে একটু হলেও খুশি করতে? সমাজের উচ্চবৃত্তদের প্রতি বিনীত অাহবান অাসুন যে যার অবস্থান থেকে এরকম হাজারও ইউসুফদের রঙিন স্বপ্ন পূরণে একটু চেষ্টা করি ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button