ঝিনাইদহ পলাশের বাঁচার আকুতি
#টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া এলাকার পলাশ একজন অসহায় দরিদ্র পিতার সন্তান। জন্মের পর থেকেই মরণব্যাধী রোগ হিমোফিলিয়া তে আক্রান্ত।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস পলাশের জন্ম এমনই এক দরিদ্র পরিবারে যেখানে বাবা একজন সামান্য অটো ভ্যান চালক। তার রোজগার দিয়ে পরিবার ঠিক ঠাক চলে না তার ওপর পলাশের চিকিৎসা। এই রোগের চিকিৎসার বলতে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার শ্বেত কনিকা বা হরমন শরীরে ঢুকানো লাগে। যেগুলা ঢাকা আর যশোর ছাড়া পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশে এই রোগের তেমন ভালো চিকিৎসাও নেয়। ডাক্তার বলেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে নিয়ে ৬মাস থাকলে রেজাল্ট ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে!
এদিকে, পলাশের আকুতি সুন্দর পৃথিবীতে আরো কিছুদিন বাঁচতে। প্রতিটা রাত শরীরে ব্যথা আর যন্ত্রণায় ঘুম হয় না। আজ অবধি ৬টা বছর হচ্ছে হাটতে পারিনা। খুব ইচ্ছা হয় হাটতে আবার দৌড়ে স্কুলে যেতে কিন্তু শরীর যে কুলায় না। সারাদিন ঘরে বন্দি থাকি। এই বন্দি জীবন আর ভালো লাগে না। দুইদিন পর পরই শরীরে শ্বেত কনিকা দেওয়া লাগে। সুই ফুটাতে ফুটাতে রোগের আর কোনো জায়গা বাকি নেই। তার পরও আমি বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
পলাশ অশ্রুভেজা চোখে আরো বলেন, দিন দিন শরীর আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আর আমি মৃত্যুর দিকে,নিরবে ঢলে পড়ছে! এক অসহায় পিতার সন্তান হয়ে একটু সাহায্য চাই আপনাদের থেকে। জানি না কতদিন বাঁচবো। তবে যতদিনই বাঁচি একটু ভালো ভাবে শরীরের যন্ত্রণা গুলো ভুলে বাঁচতে চাই।
প্লিজ একটু সাহায্য করুন কেউ। শুধু বাঁচতে চাই।
পলাশ হোসেন!
উত্তর কচুয়া, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ।
ফোনঃ 01837417559
বিকাশঃ01768452392