ঝিনাইদহের আছিয়া খাতুনের নতুন জীবণ শুরু
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ভ্যানচালক স্বামী ৯ বছর আগে দুর্ঘটনায় নিহত হয়। এরপর থেকে বিধবা আছিয়া খাতুন দুই শিশু সন্তানকে বুকে চেপে জীবন যুদ্ধে হারতে হারতে টিকে আছে। তার আপনজন কেউ নাই। স্বামী নাই, বাবা নাই, সহযোগিতা করারও অন্য কেউ নাই। দুইটি ছোট শিশু ও বৃদ্ধ শাশুড়ীকে নিয়ে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন সংসার। এমন অসহায় মানুষ সমাজে খুব কমই আছে।
জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার সিদ্ধি গ্রামের অসহায় আছিয়া খাতুনের বসবাস।
আছিয়া খাতুন জানান, ২ মাস পর থেকে ৫০টি হাঁস একসাথে ডিম দেওয়া শুরু করবে। তাতে প্রতিদিন তার ডিম বিক্রি করে ৫০০ টাকা আয় হবে। এর পাশাপাশি মাছ বিক্রি করেও মাঝে মাঝে কিছু টাকা আয় করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওসমান গণি স্যার আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। আমি আজ খুশী।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওসমান গণি জানান, কিছু দিন আগে অফিসে এসে তার দুঃখের কাহিনী শুনিয়েছিলেন আমাকে। তার অবস্থা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। তখন জানতে পারলাম তার বাড়িতে একটি ছোট পুকুর আছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঐ পুকুরে একটি হাঁস ও মাছের সমন্বিত খামার তৈরি করে দেওয়ার। আজ তা বাস্তবায়ন করা হলো। পুকুরের সাথে হাঁসের একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। ৫০টি হাঁস ও হাঁসের খাবার ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। আছিয়ার মুখের হাসি দেখে আজ মনটা ভরে গেল।
দোয়া করি আছিয়ার এই মুখের হাসি যেন আজীবন থাকে। এই ছোট খামারটি যেন অনেক বড় খামারে পরিণত হয়।