টপ লিডমহেশপুর

চলাচলের অযোগ্য ঝিনাইদহের দত্তনগর-জিন্নানগর রাস্তাটি

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলোতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তার মধ্যে দত্তনগর-জিন্নানগর রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর ডি-১৮ প্রকল্পের অধীনে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে রাস্তাগুলো নির্মিত হয়। রাস্তাগুলো হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাগুলো ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। খালিশপুর থেকে মহেশপুর, দত্তনগর, জিন্নানগর হয়ে যাদবপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের পর ২০০৮ সালের দিকে একবার মেরামত করা হয়েছিল বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান জানান। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

রাস্তাটি নতুন করে নির্মাণের জন্য বছর পাঁচেক আগে ডিপিপি তৈরি করা হয়। এরপর ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। চারটি প্যাকেজে টেন্ডার হয়। তিন নম্বর ও চার নম্বর প্যাকেজ দুটির কাজ শেষ। সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এক নম্বর ও দুই নম্বর প্যাকেজ নিয়ে। এক নম্বর প্যাকেজের টেন্ডার মূল্য ছিল ২৮ কোটি টাকা এবং দুই নম্বর প্যাকেজের টেন্ডার মূল্য ছিল ১৬ কোটি টাকা। এক নম্বর প্যাকেজে রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮ কিলোমিটার এবং দুই নম্বর প্যাকেজে রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময়ে দত্তনগর থেকে জিন্নানগর পর্যন্ত রাস্তার ১১ কিলোমিটার রাস্তার ধরন বদলে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড়ো বড়ো গতের্র। এখন আর জোড়াতালি দিয়ে কাজ হবে না। পুরো রাস্তা ভেঙে নতুন করে করতে হবে। ঠিকাদার আগের রেটে কাজ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান জানান, বাঁশবাড়িয়া, নেপা, শ্যামকুড়, কাজীরবেড় ও স্বরূপপুর ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা ও জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তিনি রাস্তাটি নির্মাণের ব্যাপারে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন ডিপিপি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ডিপিপি পাস হলে নতুন করে টেন্ডার করতে হবে। সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button