কুলফি মালাই বেচে স্বাবলম্বী ঝিনাইদহের বাবুল
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কোটঁচাদপুরের বাবুল কুলফি মালাই বিক্রয় করে নিজের পাঁয়ে দাড়িয়েছেন যেভাবে।
বাবুল (৪০)। কুলফি বিক্রেতা। সদাহাস্যেৎজ্বল। চোঁখেমুখে আন্দদের ফল্গুধারা। দেখে বুঝার উপায় নেই বাবুল একজন হত দরিদ্র কুলফি মালাই বিক্রেতা। বাছের শেখ এর ৫ সন্তানের মধ্যে বাবুল একজন। অভাবী সংসার কিন্তু সুখের কমতি ছিলো না। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বাবুলের পৈতিক ভিটা। দিনমজুর করে তাদের সংসার চলতো।।
সংসারের অভাব আর দিনমজুরের কাজ তা ভাল লাগতো না বাবুলের । মনে মনে সব সময় নিজের স্বাধীন ভাবে কাজ করা তার বাসনা ছিল। হঠাৎ একদিন তার ফুপাতো বোন জামাই মফিজুর এর কথোপকথনে ফেরি করে কুলফি মালাই এর ব্যবসায়ী কাজে লেগে পড়েন। জীবিকার সন্ধানে চলে অাসেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। বিয়ে করেন পৌর শহরের রুদ্রপুর গ্রামে পলি খাতুনকে। সুখের সংসারে বাবুল ও পলি দাম্পত্য জীবনের কোলজুঁড়ে অাসে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে।
বাবুল জানায় কুলফি মালাই বিক্রয় করে প্রতিদিন ৫/৬ শো টাকা তাঁর আয়। এই কুলফি মালাই বিক্রয় করে তার সংসারের ভরনপোষণ শেষে রুদ্রপুর গ্রামে প্রায় ৪ শতক জমি ক্রয় করে বাবুল বসতভিটা বানিয়ে সেখানে পরিবার নিয়ে অানন্দে দিনযাপন করছেন।
ইতিমধ্যে বড় ছেলে কে বিবাহ দিয়েছেন। ১ছেলে তামিম ও ১ মেয়ে তানিয়া লেখাপড়ায় ব্যস্ত। বাবুলের স্বপ্ন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাবেন। তাঁরা চাকুরী করবেন। অনেক স্বপ্ন দেখেন বাবুল তাঁর সন্তানদের নিয়ে। কুলফি মালাই বিক্রয় করে বাবুল প্রতিমাসে ১৫ / ১৮ হাজার টাকা অায় করেন দৈনন্দিন। অভাবের সেই সংসারে এখন সুখের ঢেউ। দুধ, চিনি অার হালকা কর্নফ্লাওয়ার তৈরি করে ১ টা কুলফি মালাইয়ে ২/৩ টাকা খরচ হয়। সেখানে কুলফি মালাই প্রতি বিক্রয় করেন ৫/ ১০/২০/২৫ / ৩০ টাকা হারে । তবে মাঝে মাঝে দুধের দাম বেশি হলে বা বর্ষাকালে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। সব মিলিয় বাবুল জানালো সৎ ও হালাল রিজিক অার পরিশ্রমে সে এই কুলফি মালাই বিক্রয় ২০ বছরের সংসার জীবনে খুব ভাল অাছেন এবং বাকী জীবনটা সুস্হ শরীরে এই ব্যবসা করে কাটাতে চান।