একজন শিক্ষকই পারেন পুরো স্কুলকে বদলে দিতে
#ওমর ফারুক, ঝিনাইদহের চোখঃ
বদলে যেতে শুরু করেছে ঝিনাইদহের ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জানা যায়, এই স্কুলটি পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় এবং বিভিন্ন ছুটি মিলে স্কুলটি বছরের প্রায় অর্ধেকের বেশী সময় বন্ধ থাকে। এতে এই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর ফলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলটি যতদিন খোলা থাকে সেখানেও আশানুরূপ পাঠদান হয়না। কিছু শিক্ষক প্রাইভেটে ভালো পড়ালেও ক্লাসে ঠিকমতো পাঠদান করে না বলে অভিযোগ আছে অনেকদিন ধরেই।
কিন্তু বর্তমানে স্কুলের চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আর এটা সম্ভব হয়েছে সোহেল রানা নামক এক সহকারী প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই।
জানা যায়, সহকারী প্রধান শিক্ষকের আসনটি শূন্য থাকায়, মোঃ সোহেল রানা গত ২৭/০৪/২০১৯ তারিখে স্কুলটিতে যোগদান করে সমস্ত স্কুলের চিত্রটিই পালটে ফেলেছেন। এখন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন শিক্ষকের প্রতি খুশি। এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলের নানান প্রতিবন্ধকতার কথা সোহেল রানাকে জানাচ্ছেন এবং তিনি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
স্কুল সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন প্রতিটি ক্লাস ঠিকভাবে হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন উপস্থিত হচ্ছে। উপস্থিতির হার আগের তুলনায় বেশী।
শিক্ষক সোহেল রানার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘স্কুলটির উন্নয়নে আমি এলাকাবাসীর সাহায্য চাই। এলাকাবাসী সাহায্য করলে এই স্কুলের ফলাফল অনেক ভালো হবে। এবং তিনি বলেন স্কুলে এখনো কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে তিনি একটি একটি করে সবগুলো সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানান।
স্কুলের ম্যানেজিং কমেটির সদস্য, নওয়াব আলী মেম্বার বলেন, স্কুলটির উন্নয়নে তিনি অনেকদিন ধরে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবং তিনি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শুনছেন।
এলাকাবাসী স্কুলটি থেকে ভালো ফলাফল আশা করেন।