ঝিনাইদহে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
#সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা গ্রামের আসাদুলের স্ত্রী তানিয়া (২৩) গত ১লা আগস্ট বৃহস্পতি বার রাত ১০ টার দিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তানিয়ার স্বামী রাত ১১ টিকে দোকান থেকে বাসায় এসে তাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখতে পায়।
তারপর ঘটনা জানা জানি হয়। তবে মেয়ের পরিবারের লোকজন দাবী করেছে যে তানিয়াকে হত্যা করে ঘরে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। গত ৫ বছর আগে শৈলকূপার ইব্রাহিমপুর গ্রামের মনোয়ারের মেয়ে তানিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার আলমডাঙ্গা গ্রামের মনজের আলীর ছেলে আসাদুলের সাথে।
তাদের একটি ৩ বছরের মেয়ে সন্তান আছে। ইতিমধ্যে আসাদুল একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে এই নিয়ে উভয়ের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। আসাদুলের পরিবার দাবী করে যে তানিয়া ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তাবে পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে ডিস লাইনের ছোট্ট ২ পিচ তার উদ্ধার করে, যা পুলিশ হেফাজতে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল মোল্লা জানায় তানিয়া মারা যাবার পর মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারের কাছে ৭ লক্ষ টাকা দাবী করে কিন্তু ছেলে পক্ষ এই টাকা দিতে অস্বীকার করার পর মেয়ের পরিবার শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে শৈলকূপা থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর শৈলকূপা থানার পুলিশ এসে তানিয়ার মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়। তবে পুলিশ আসার পর তানিয়ার লাশের পাশে বসে থাকা আসাদুলের মা পুলিশের সামনে দিয়েই পালিয়ে যায়। এই নিয়ে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ঘটনা স্থানে উপস্থিত শৈলকূপা থানা পুলিশের এস আই আমিত জানায় যে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তাহা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
এই প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান বলে যে পুলিশ অভিযোগ না পেলে কি ভাবে কাউকে গ্রেফতার করবে। তারা ১১ টার দিকে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহে মর্গে পেরন করা হয়েছে। এখন অদ্যি কোন মামলা হয়নি।