শৈলকুপা

ঝিনাইদহে স্মার্ট কার্ড বিতরণে হাতাহাতি, আহত ৪

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের গাড়াগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই এলাকার নারিদের মধ্যে স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরনের সময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও তার দলবলের হাতে এক নারি কর্মচারিসহ কমিশনের চার কর্মী মারধরের ঘটনায় কার্ড বিতরণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় অফিস।

শৈলকুপা থানা পুুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুর রহামন স্বপন নামে ওই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেলেন, সকালে স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরনের সময় হাতাহাতির সামান্য ঘটনা ঘটেছে।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নির্বাচন কমিশন কর্মী নাসরিন জানান, তারা সকাল ১০টার দিকে এলাকার নারিদের মধ্যে স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরন করছিলেন। স্বপন নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে অশোভন আচরন করলে তিনি প্রতিবাদ করেন এবং ওই স্থান ত্যাগ করতে তাকে অনুরোধ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বপন ও ৭-৮ জন যুবক এসে তাদের গালাগাল এবং মারধর শুরু করেন। এতে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আব্দুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন, রুবায়েত ও তিনি আহত হন।
আব্দুল্লাহকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা শৈলকুপায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মশিউর রহমান জানান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত অবস্থায় কমিশনের কর্মচারিদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করায় তারা স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরনের কাজ স্থগিত করেছেন। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। নির্বচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার জানান।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানালেন, সোমবার সকালে গাড়াগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরনের সময় হাতাহাতির সামান্য ঘটনা ঘটেছে এবং একটি কম্পিউটার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, এর বেশি কিছু না। তিনি অভিযুক্ত সাইদুর রহামন স্বপন নামে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ওই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button