ক্যাম্পাস

শিক্ষক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করলেন ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

#মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহের চোখঃ

শিক্ষক বরখাস্তের চিঠিতে অন্তত ২২টি ভুল লিখে আলোচনায় এসেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) শেখ মো. আকতারুজ্জামান। নিজের ভুলের পাশাপাশি বরখাস্ত করাও যে ভুল ছিল তা বলেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঞ্জুর কাদিরও।

নিজের ভুল স্বীকার করে গতকাল রবিবার ঝিনাইদহের মহেশপুরের ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।

গত ৩০ জুলাই ভালাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) শেখ মো. আকতারুজ্জামান পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি পড়া রিডিং পড়তে দেন। ছাত্রছাত্রীরা ঠিক মতো পড়তে না পারায় ঐ বিষয়ের শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানাকে বহিষ্কার করেন। ঐ বহিষ্কারের চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। একপর্যায়ে চিঠিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। চিঠিতে ২২ জায়গায় ভুল ধরা পড়ে এবং ফেসবুকে ঝড় উঠে। গত শনিবার ইত্তেফাকে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে উচ্চ মহলের টনক নড়ে। স্থানীয় শিক্ষক সমিতি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার ডিপিওর বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করে। দুপুর ২টার মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে বিকাল সাড়ে ৪টায় মহেশপুর উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

ডিপিও আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে উক্ত শিক্ষিকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনার উপপরিচালক মেহেরুননেছার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ডিপিও আক্তারুজ্জামান ভুলে ভরা যে চিঠি দিয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এক জন ডিপিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার আমার নেই। তবে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছেন বলে জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button