মাঠে-ময়দানে

বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হবে বাংলাদেশ: কোচ

#ঝিনাইদহের চোখঃ

বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটির কথা মনে আছে? মোস্তাফিজের বলে রোহিতের তুলে দেয়া ক্যাচ ছেড়ে দিলেন তামিম ইকবাল, সেই এক সুযোগে সেঞ্চুরি করে ফেললেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচে ওয়ার্নারের ক্যাচ ছেড়ে দিলেন সাব্বির রহমান। ফলাফল সেই একই, ওয়ার্নার করলেন সেঞ্চুরি। হেরে গেলো ম্যাচ দুটি বাংলাদেশ।

এরপরে শ্রীলঙ্কায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও একই চিত্র। বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে সিরিজ খুইয়ে। বিশ্বকাপ থেকে তো স্বপ্ন পূরণ না করতে পারার আক্ষেপ আগেই ছিলো দগদগে।

টাইগারদের বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফর—দুটিতেই এত বাজে ফিল্ডিং করেছে, কদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ফিল্ডাররা বেসিকই জানে না!’ যেহেতু ‘বেসিক’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজ ফিল্ডিং কোচকে এই বেসিক নিয়েই বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো।

টাইগার ফিল্ডারদের শিশুতোষ সব ভুল নিয়মিত দৃশ্য! একজন ফিল্ডারের দুই পায়ের ফাঁক গলে বাউন্ডারি হয়ে যায়, এক সুযোগে বল ধরতে পারেন না, দৌড়ে মাঠ কাভার করতে পারেন না, ওভার থ্রোয়ে রান হয়, সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙার ঘটনা দেখা যায় কালেভদ্রে। আর লোপ্পা ক্যাচ হাতছাড়ার উদাহরণ তো ভূরি ভূরি। স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে ভুলের মাত্রাটা বেড়ে যায় আরও বেশি। টেস্টে স্লিপ ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়নি এখনো। ‘এই ফিল্ডিং লইয়া কী করিব’ ধরনের কথা ওঠে প্রায় ম্যাচেই। বাজে ফিল্ডিং নিয়ে বিসিবি সভাপতি গত এক মাসে একাধিকবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের যে মান তাতে যদি নম্বর দিতে বলা হয় কত দেবেন রায়ান কুক? আজ ফিল্ডিং সেশন শেষে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ যে নম্বর দিলেন তাতে ফিল্ডাররা খুশিই হবেন, ‘খেলার বিভিন্ন প্রেক্ষাপট আমাদের বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে সম্ভবত দশে ৬.৫ পাবে। ওয়ানডেতে ৭.৫। আর টেস্টে ৭। হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের আরও উন্নতি করার আছে। তবে অনেক জায়গায় আমরা উন্নতি করছি।’

অবশ্য কুকও স্বীকার করলেন ফিল্ডিংয়ের মৌলিক বিষয়ে অনেক ভুল করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ফিল্ডিং কোচ মনে করেন ক্যাচ ধরায় আরও ধারাবাহিক হতে হবে। স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তের চাপ নিয়ে ভালো ফিল্ডিং করতে হবে। আগামী কদিনে এসবেই নজর দিচ্ছেন তারা। কুকের আশা বিশ্বের সেরা তিন ফিল্ডিং দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ, ‘আমরা সম্ভবত ফিল্ডিংয়ে মাঝামাঝি জায়গায় আছি। বিশ্বকাপের নিরপেক্ষ কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণ করার ভালো একটা সুযোগ ছিল আমাদের। নিজেদের আমি শীর্ষ তিনে দেখতে চাই। ফিল্ডিংয়ে শীর্ষ তিনে থাকার কাজটা অবশ্যই আমরা শুরু করতে পারি।’

কাজটা যে কতটা কঠিন কুক সেটি ভালো করেই জানেন। তবুও তিনি চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন, ‘আমাদের সবকিছুই দরকার। বিশ্বকাপের আগে সত্যি আমরা অনেক কাজ করেছি সুযোগগুলো যেন কাজে লাগাতে পারি। সেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশ্বকাপে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউটের অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এটাতে অনেক গুরুত্ব দিয়েছিলাম। অন্য দলের তুলনায় ক্যাচ ধরার হারও ভালো। লক্ষ্য অর্জনে আমরা এসবে অনেক মনোযোগ দিচ্ছি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button