দেখা-অদেখা

মাদারীপুর; এক ঐতিহাসিক জনপদের নাম

ঝিনাইদহের চোখঃ

মাদারীপুর জেলা, যার রয়েছে ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ। পঞ্চদশ শতাব্দীর সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ্ মাদার (রঃ) এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হওয়ার পর আজকের এই মাদারীপুরের জন্ম।

অনেক পূর্বে মাদারীপুর জেলার নাম ছিল ইদিলপুর। তখন এই ইদিলপুর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের একটি উন্নত জনপদ ছিল। খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের পূর্বাংশের নাম ছিল ইদিলপুর, আর পশ্চিম অংশের নাম কোটালীপাড়া ছিল।

১৮৫৪ সালে প্রথম মাদারীপুর মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হয়। তারপর দীর্ঘদিন পরে ১৯৮৪ সালে এই মাদারীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৪টি উপজেলা ও ৫টি থানা নিয়ে গঠিত হয় মাদারীপুর জেলা।

এই জেলার প্রধান শস্য সরিষা, পাট ও ধান। তারমধ্যে পাট রপ্তানিযোগ্য পণ্য। তাছাড়া এখানকার খেজুরের গুঁড় একটি সম্ভাবনাময় পণ্য। এ জেলায় বেশ কিছু নদী রয়েছে; যার মধ্যে পদ্মা, ময়নাকাটা ও পালং নদী উল্লেখযোগ্য।

মাদারীপুর জেলার পুরাকীর্তির বর্ণনা দিতে গেলে বেশ কিছু স্থানের নাম বলতে হয়। এর মধ্যে প্রাচীন বন্দর ও বানরের রাজ চরমুগরিয়া, আকর্ষণীয় জলাধার শকুনীলেক, খালিয়া শান্তিকেন্দ্র, রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের প্রণব মঠ, আউলিয়াপুর নীলকুঠি, রাজা রাম মন্দির, হযরত শাহ মাদারের দরগাহ, প্রাচীন মসজিদ আলগী কাজি বাড়ি মসজিদ, জেলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রত্নসম্পদ ঝাউদি গিরি, ঐতিহ্যবাহী মিঠাপুর জমিদার বাড়ি, মঠের বাজার মঠ, পর্বতের বাগান, সেনাপতির দীঘি অন্যতম।

মুলত মাদারীপুরের এসব পুরাকীর্তি স্থানগুলোই ভ্রমন প্রিয় মানুষদের কাছে দর্শনীয় স্থান হিসেবেও গণ্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button