টপ লিডশৈলকুপা

ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক সাধারনের গলার কাটায় পরিণত

ঝিনাইদহের চোখঃ

শনিবার বিকাল ৫ টা, হঠাৎ শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। সামান্য বৃষ্টিতে মহাসড়কের উপর থাকা বড় বড় গর্তগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। গাড়িগুলোর চাক্কার তালে গোটা বাজার এলাকায় পানি আর কাঁদার ঢেউ খেলতে থাকে। পথচারিরা প্যান্ট উচু করে মহাসড়কের উপর দিয়ে চলতে থাকেন। এই অবস্থা ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারের।
একই অবস্থা ওই সড়কের গাড়াগঞ্জ বাজারের। ওই বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহসড়কের একই অবস্থা। বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। মাঝে মধ্যেই গাড়ি গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে। এই দুই বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাসড়কটির পোনে এক কিলোমিটার সকলের জন্য গলার কাটায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
অবশ্য এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন তারা দ্রæতই ভাটই বাজারের ওই স্থানটি মেরামতের কাজ শুরু করবেন। আশা করছেন অল্পদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যানুযায়ী ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ঝিনাইদহ অংশে ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এই মহাসড়কটি ঝিনাইদহ শহরের আবাবপুর থেকে শেখপাড়া বাজার পর্যন্ত। এই অংশে বেশ কয়েকটি বাজার রয়েছে। যার মধ্যে ভাটই ও গাড়াগঞ্জ বাজার এলাকায় মহাসড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।
স্থানিয়রা জানান, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের উপর যে বাজারগুলি রয়েছে তার মধ্যে দুইটি বাজারের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। ভাটই বাজারের আধা কিলোমিটরা ও গাড়াগঞ্জ বাজারের ৩ শত মিটার মহাসড়ক একেবারেই চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ভাইট বাজারের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক বছর তারা এই কষ্ট ভোগ করছেন। ইতিপূর্বে পিচ রাস্তার উপর ইটের সলিং করে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বাজারের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রাপ্ত পর্যন্ত ভেঙ্গেচুরে শেষ হয়ে গেছে। সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। যেখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। আর গাড়ির চাক্কায় এই পানি ঢেউ খেলে যায়। অনেক সময় পানি পথচারিদের শরীর নষ্ট করে। তিনি আরো জানান, মহাসড়কে তৈরী হওয়া গর্তগুলো এতোটাই বড় যে চলাচলকারী গাড়িগুলো হেলেদুলে চলতে হয়। এসে ঝুকিও বাড়ে আবার সময়ও নষ্ট হয়।
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গড়াউ পরিবহনের চালক মনিরুল ইসলাম জানান, গাড়ি ভরা যাত্রী নিয়ে এই ভাঙ্গাচুরা সড়কে চলাচল করতে তারা খুবই কষ্ট পান। সারাক্ষন আতংকে থাকেন, কখন যাত্রীবাহি বাস উল্টে যায়। ওই সড়কে চলাচলকারি ইজিবাইক চালক শাহজাহান আলী জানান, মহাসড়কের এই অবস্থা ভাবতেই কষ্ট হয়। এটা দীর্ঘদিনের কিন্তু মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি বলেন, একটা গাড়ি পাশ দিয়ে গেলে আরেকটি যেতে পারে না। সামনে পড়ে যায় গর্ত। এই অবস্থায় তারা দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
গাড়াগঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী সামছুল আলম জানান, ঝিনাইদহ বা কুষ্টিয়া থেকে তারা মোটামুটি ভালো ভাবে এসে এই দুই স্থানে আটকে যান। এই জায়গা দুইটি দিয়ে চলাচল করতে গেলেই ভয় লেগে যায়। কখন কি ঘটে এমন একটা আতংক নিয়ে চলাচল করতে হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, তারা এগুলো মেরামত করার জন্য ইতিমধ্যে ঠিকাদার নির্মাচন সম্পন্ন করেছন। অল্পদিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে আশা করছেন। তিনি বলেন, আপাতত মেরামতের কাজ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button