শামীম খাঁন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর কুলবাগান গ্রামের এক গৃহবধূ স্বামীর সংসার ও ছেলে (১১), মেয়ে (১৪) রেখে প্রবাসী এক ছেলের উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে গেছে।
আব্দুল মজিদের পুত্র আয়নাল উদ্দিন জানায় আমার বাড়ি থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ব্যবহারের জিনিষ পত্র নিয়ে চলে গেছে। তিনি আরো জানায় আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বলে গেছেন যে আমার বাবার বাড়ি যাচ্ছি, আমার বাবার শরীরটা বেশি ভালো না। কিন্তু আমি জানতাম না আমার টাকা পয়সা নিয়ে চলে যাচ্ছে, আমার স্ত্রী যাওয়ার সময় বলে গেছেন যে ছেলে মেয়ে তোমার কাছে থাকলো দেখে শুনে রেখো।
এক সপ্তাহ চলে গেল এইভাবে, পরে আমি ফোন করলাম আমার স্ত্রীর কাছে যে তুমি বাড়িতে আসবে কবে? উনি জবাব দিলেন যে কিসের বাড়ি কিসের ঘর। পরে আমি একমাস পর গিয়েছিলাম শশুর বাড়ি। যাবার পরে আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বলছেন কে আপনি? আমাদের বাসায় কেন এসেছেন? চলে যান। চিনি না আপনাকে। পরে আমি শশুর বাড়ির এলাকার লোকজন কে বলি, আমাকে ওনারা কি চেনে না? আপনারাও কি আমাকে চেনেন না? আমি কে? বলামাত্র উনারা জবাব দিলেন তুমি আমাদের জামাই। কিন্তু পরে ছেলে মেয়ে মায়ের কাছে নানা বাড়ি রাজশাহী চলে গেছে।
পরে স্ত্রী বললেন যে আমি কারো স্ত্রী নয়, আমারতো বিবাহ হয়নি। এই কথা শুনে আমি ওই জায়গা থেকে চলে আসলাম। পরে ভাবলাম যে, ছেলে মেয়ের দিকে তাকায়ে না হয় আসতে পারে। পরে একদিন আমি ফোন করলাম যে, তুমি কি আসবে না? তোমার ছেলে মেয়ের দিকে তাকায়ে না হয় আসো। উনি বললেন যে কিসের ছেলে মেয়ে, আপনি কে বলছেন পরে আমি ফোনটা কেটে দিলাম যে ও আমাকে চেনে না, তাহলে আমি কেন বারবার ওর কাছে ফোন করছি। যে ছেলেটির সাথে সম্পর্ক সেই ছেলেটি থাকে সম্ভাবত মরিচ নামক দেশে।
এই ভাবেই কেটে গেল তিনটি মাস। এখন পর্যন্ত আমি কোনো মামলা দায়ের করিনি ওর বিরুদ্ধে। আর মাত্র একটি মাস দেখবো। এরপর থানায় গিয়ে আমি মামলা করব, না হয় কোর্টে যাবো।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি যে, আমার স্ত্রী যেন বাংলাদেশ থেকে বিদেশের মাটিতে পা না দিতে পারে। আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট নাম্বার BM 0515295। কারন আমি ওকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাই, আমি চাইনা মামলা করতে। মামলা করার আগে ও যেন আমার ঘরে ফিরে আসে। এটাই আমার অনুরোধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।