হরিণাকুণ্ডুর অসহায় মা-ছেলের রাত কাটতো লাশ ও শিয়ালের সাথে
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
মা ছেলে দুজনেই পরের বাড়িতে কাজকরে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে উপজেলা পারদখলপূর গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত আাশা ও তার বুদ্ধীপ্রতিবন্ধী অসহায় মা মনোয়ারা খাতুন ।
নিজের যায়গা জমি না থাকায় বাধ্য হয়ে কবরস্থানের পাশে ক্যানালের জমিতে কুড়েঘর তৈরীকরে লাশ আর শিয়ালের পাশাপাশি বসবাস করে আসছিল ,সেখানেও প্রাণভয়ে থাকতে পারেনি তারা ,রাত হলে মাঠের ভিতর কবরস্থানের পাশে থাকা সত্যিই ভয়ানক বলে জনান অাশার মা। তিনি বলেন,যখন রাতহয় শিয়াল ডাকে তখন খুব ভয় লাগে তাছাড়া যেদিন গ্রামের কেও মারাযায় সেদিন ঘরের পাশে মরদেহ মাটি দিয়ে সবাই যখন চলেযায় তখন অারো বেশী ভয় লাগে। কিন্তু কি করবে থাকবে কোথায় কে দেবে আশ্রয় ? এভাবে শেয়াল ও লাশের পাশাপাশি বসবাস করতে করতে কপাল খুললো , কাজ করার বিনিময়ে জুটলো একজন হৃদয়বান মানুষ সম্পর্কে দেবর মগ্গুলের বাড়ীতে থাকা খাওয়ার নিশ্চয়তা । অসহায় আনোয়ারা জানান অনেক সপ্ননিয়ে জন্মের পর সন্তানের নাম রেখেছিলাম অাশা , কিন্তু ওর বাবা দিনমজুর বিশারত চৌধুরী মারা যাওয়ার পর ছেলেও পরের বাড়ীতে গরু রেখে খাওয়ায় আশা নিরাশায় পরিনত হয়ে যায় ।
ভবিস্বৎ বলে ছেলেটার সামনে কিছু নেই । অামি চোখ বুজলে ছেলেটার যে কি হবে কে দেখবে তাক আল্লাহই যানে , বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আশার মা। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পায়কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,কে দেবে ? কতবার মেম্বর চেয়ারম্যান দের কাছে ধরণা দিয়েছি , ঘুরতে ঘুরতে পায়ের সুতো ছিড়েগেছে , কার্ড করে দেবো বলে সান্তনা দিয়েছে তারা অাজও পর্যন্ত কোন সরকারী সুবিদ্ধা কপালে জটেনি। অামার পাগল অাশাও পেলোনা কোন সুযোগ সুবিধা।
এবাপারে ইউপি মেম্বর অাক্তারুল ইসলামের কাছে অসহায়দের জন্য কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানাছিল না, এখোন জানলাম, এবার সুযোগ সুবিধা আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতপূর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অালী বলেন,এরকম ঘটনা আমার জানা ছিলনা বিষয়টি সত্যিই দুঃখ জনক তবে এবার কার্ড করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেন খান বলেন , অাবেদন পেলে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।