প্রবাসে বোনের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে শৈলকূপায় বড় বোনও নিখোঁজ
ঝিনাইদহের চোখঃ
স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছেড়েছেন নয় বছর আগে। দুই সন্তানের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিতে চাকরি নিয়েছিলেন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। এরপর ভাগ্য ফেরাতে বিদেশে পাড়ি। অথচ সেই ভাগ্যের চাকা ঘোরার আগেই বিদেশে পা দেওয়ার কয়েকদিন পরই নিভে গেল ঝিনাইদহের শৈলকুপার রাজিয়া সুলতানার প্রাণ প্রদ্বীপ।
রাজিয়া উপজেলার ধাওড়া গ্রামের মৃত মমতাজ আলী জোয়ার্দ্দারের মেয়ে। প্রবাস থেকে বোনের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে জানানোর পর অপর বোন আকলিমা খাতুনেরও খোঁজ নেই বলে জানিয়েছে পরিবার।
রাজিয়ার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের ফজলু বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রাজিয়া সুলতানার। ১১ বছর ও ৮ বছরের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে তার। ৮ বছরের মেয়ে যখন তার গর্ভে তখন স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়তে হয় রাজিয়াকে। এরপর দুই মেয়ের সুখের আশায় ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন তিনি।
তিনি জানান, বড় বোন আকলিমা ওমান প্রবাসী। গত বছরের ২৯ নভেম্বর বৈধ ভিসায় সরকারি ভাবে ওমান যান রাজিয়াও। ওঠেন বড় বোনের বাসায়। হঠাৎ বড় বোন আকলিমা গত ২৯ ডিসেম্বর বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেন রাজিয়া মারা গেছে। এরপর থেকে আকলিমার সঙ্গেও পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
রাজিয়া সুলতানার মা হাসিনা বেগম বলেন, ১৩ দিন হলো মেয়ে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। মেয়ের লাশ আনার জন্য ঢাকায় বিভিন্ন জায়গাতে যোগাযোগ করেছি। সর্বশেষ গুলশান একটি অফিসে গিয়েছিলাম। তারা আমার মেয়ের নাম ঠিকানা নিয়েছে।
নিহত রাজিয়ার ভাই সাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজিয়ার মৃতদেহ বিদেশ থেকে ফেরত আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের কোন তথ্য যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে চায়, তাহলে আমরা তা জানিয়ে দেব।